ঢাকা রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫

জোরপূর্বক দুর্ভিক্ষের শিকার গাজা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ০৮:৫৬ এএম
মানবিক সহায়তা ট্রাকের অপেক্ষায় দুর্ভিক্ষের শিকার গাজাবাসী । ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েল আগ্রাসন, অবরোধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে জোরপূর্বক দুর্ভিক্ষের শিকার গাজা। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার (৩০ মে) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ করেন।

ফ্লেচার বলেন, ‘গাজায় যে ধরনের মানবিক সংকট ইসরায়েল তৈরি করেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের কাজ ইতিহাস এবং আদালতের সামনে জবাবদিহির বিষয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজায় যা করছে তা  সরাসরি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে থাকার মন্তব্য করেন টম ফ্লেচার যা জাতিসংঘ ‘ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে। এ ব্যাপারে নিজের ভাষাগত ব্যবহারে সতর্ক হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, ‘গাজার বাসিন্দারা যেন পুরোপুরি নিরুপায় হয়ে বুঝতে পারে যে তাদের কোনো আশা নেই,  কিছুই পাওয়ার নেই। এবং তারা যেন অন্য কোথাও গিয়ে নতুন জীবন শুরু করার কথা ভাবতে শুরু করে।’

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি অবরোধের ফলে গত তিন মাস ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও আশ্রয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের প্রবেশ বন্ধ ছিল। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহে কিছুটা সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে তেল আবিব, কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। বিশাল চাহিদার বিপরীতে মাত্র এক ফোঁটা বলে মন্তব্যও করেন অনেকে।

গত ১৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার পর ইসরায়েল গাজার ওপর পূর্ণাঙ্গ অবরোধ আরোপ করে এবং হামাসের বিরুদ্ধে ফের সামরিক অভিযান শুরু ও জোরদার করে।

ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হাতে থাকা ৫৮ জন জিম্মি মুক্ত করতে চাপ প্রয়োগ করতেই তারা এই কৌশল নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন এখনো জীবিত।

তথ্যসূত্র- বিবিসি