ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে তার সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রাথমিক ভোটাভুটি হতে পারে।
নেতানিয়াহুর পতন আসতে পারে মূলত তার নিজের দলের কারণে। তার জোটে থাকা কট্টরপন্থি ইহুদি ধর্মীয় দলগুলো চাইছে, তাদের সেমিনারিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক সেনা দায়িত্ব থেকে ছাড় দেওয়া হোক। অপরদিকে, নেসেটের কিছু আইনপ্রণেতা এই ছাড় প্রথা পুরোপুরি বাতিল করতে চাচ্ছেন।
ইহুদি শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। গাজা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পর সেনাসংকটে কট্টরপন্থি ইহুদি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে সরকারের মধ্যে অচলাবস্থা তৈরি হয়।
নেতানিয়াহু বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করলেও তিনি সফল হতে পারছেন না। এর ফলে তার জোটে থাকা ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলো এখন বিরোধীদের সঙ্গে এক হয়ে সরকার পতনের পক্ষে ভোট দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এমনটি হলে ইসরায়েলে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিরোধী লেবার পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য মিরাভ মিখাইলি বলেন, ‘এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর সরকার, বিশেষ করে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। গাজায় যুদ্ধ থামাতে হবে, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ইসরায়েলকে নতুনভাবে গঠন করতে হবে।’
এদিকে, নেতানিয়াহু তার সরকার রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জোটের বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদি আজকের প্রাথমিক ভোটে পার্লামেন্ট ভাঙার প্রস্তাব পাস হয়, তবে এটি কার্যকর করতে আরও তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। সেগুলো পেরিয়ে গেলে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন ডাকা হবে।
সূত্র: রয়টার্স