যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়তে থাকায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের কর্মী সরিয়ে নিতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপকে ঘিরেই আঞ্চলিক সংঘাতের সব আশঙ্কা। এরই মধ্যে কর্মী সরিয়ে নেওয়া যেন সেই আশঙ্কারই বাস্তবে রূপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে ওমানে ষষ্ঠবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের। সম্প্রতি এই কূটনৈতিক তৎপরতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় ধরনের সংঘাতের সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠছে।
তেহরান-ওয়াশিংটন পরমাণু আলোচনা ব্যর্থ হলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। এদিকে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বহুদিন ধরে।
ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকির বৃদ্ধির কারণে বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পদক্ষেপটি যুদ্ধপূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা। শুধু তাই নয়, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে কি কর্মী সরিয়ে নেওয়া ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে?
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল ইরানে হামলা চালালে তেহরান ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র ও সম্প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর বিরোধ অথবা আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি দেশটি। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকর্মী ও সেনা সরিয়ে নেওয়া যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতির বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত দিচ্ছে।