ইরানের রাজধানী তেহরান ও আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জবাবে শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের তেল আবিবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে জর্ডান। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলসহ বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল এই হামলা চালায়। হামলার কোডনেম দেওয়া হয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’।
ইসরায়েল বলছে, তেহরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সেজন্যই এই অভিযান।
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার জেরে জর্ডান তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আঞ্চলিক উত্তেজনার ফলে সৃষ্ট যেকোনো সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালে ইরান ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সময় কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের আকাশসীমা অতিক্রম করেছিল।
ইসরায়েলের এই বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ও আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
নিহতদের তালিকায় আছেন ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসি এবং বিশিষ্ট পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচিও।
এ ছাড়া, রাজধানী তেহরানের একটি আবাসিক ভবনে চালানো ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের বার্তা সংস্থা আইআরএনএ।
ইসরায়েলের এই হামলার জবাবে, ইরান শতাধিক সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায়।
ইরান দাবি করেছে, এটি তাদের আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :