মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি এবার যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সকেও হুমকি দিয়েছে ইরান। তেহরান বলছে, ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করলে এসব দেশের ঘাঁটি ও জাহাজে হামলা চালানো হবে।
শনিবার (১৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশগুলোর আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটি ও নৌবাহিনীর জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
তবে বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত কোনো সামরিক পদক্ষেপে জড়ায়নি। এমনকি লন্ডন ইসরায়েলকে রক্ষার প্রচেষ্টাতেও অংশ নেয়নি তারা। আর ইরানের হুমকির বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে আজ শনিবার ইরান ও ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবর ও ছবি থেকে দেখা গেছে, ইরানি হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে।
এদিকে শনিবার (১৪ জুন) ফার্স সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ইরান।
এক সূত্র সংস্থাটিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সরকারের আগ্রাসনের ফলে শুরু হওয়া যুদ্ধ এই সরকারের দখলকৃত সব অঞ্চল এবং এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে ছড়িয়ে পড়বে। আক্রমণকারীরা ইরানের কাছ থেকে একটি বড় আকারের প্রতিক্রিয়া পাবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বরাত দিয়ে ফার্স সংবাদ সংস্থা জানায়, আরেশ আত্মঘাতী ড্রোনগুলো ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোনগুলো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছাতে পেরেছে এবং এগুলোর পরিচালনাকারীদের দ্বারা নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়েছিল।
জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে খামেনি বলেন, ‘ ইসরায়েল বড় ভুল করে ফেলেছে, যার পরিণতি তাদের জীবন অন্ধকার করে দিতে পারে।’
কঠোর প্রতিশোধের বার্তা দিয়ে খামেনি বলেন, ‘ইরান এ হামলার জবাব হালকাভাবে দেবে না এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের প্রতি কোনো সহনশীলতা দেখাব না। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং তা নেওয়া হবেই। আমাদের ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও আল্লাহর অনুগ্রহে, ইহুদিবাদী সরকারকে আমরা পরাজিত করব ইনশাআল্লাহ।’
জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনি দাবি করেন, পুরো ইরানি জাতি এবং সশস্ত্র বাহিনী এই প্রতিশোধে একাত্মতা গ্রহণ করবে। আমাদের সমগ্র জাতি সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে রয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আগ্রাসনের জবাব দেব।’