ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। এমন অবস্থায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে টার্গেট করে হত্যার পরিকল্পনার কথা উঠে এসেছে।
যদিও ইসরায়েল এ বিষয়ে এখনই কিছু স্বীকার করেনি, তবে এই গুপ্তহত্যার অভিযানকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তা। প্রকাশিত এক সংবাদে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইসরায়েলি ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, যে তালিকা করে ইরানে হামলা চালানো হয়েছে সেই তালিকার বাইরে নয় আয়াতুল্লাহ খামেনি।
তার এমন বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়, শুধু ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কিংবা পারমাণবিক বিজ্ঞানী নয়। খামেনিসহ ইরানের আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন যাদের হত্যার পরিকল্পনা রয়েছে ইসরায়েলের।
এদিকে গেল শনিবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাজধানী তেহরানের পাস্তুর এলাকায় এই হামলার চেষ্টা করা হয়। ওই এলাকাতেই অবস্থান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সর্বোচ্চ নেতা। হামলা প্রতিহত করতে ইরানি সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।
পাস্তুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হামলার আশঙ্কায় সেখানে নিয়মিতভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে মিসাইল ছোড়া হচ্ছে। তাদের মতে, এসব ব্যবস্থা কার্যকরভাবে মোতায়েন করা হয়েছে যেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কোনোভাবেই ওই এলাকায় আঘাত হানতে না পারে।
গত শুক্রবার ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওইদিন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ একাধিক জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারদের হত্যা করে তারা। এ ছাড়া ৯ পরমাণু বিজ্ঞানী দখলদারদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।