ইরানে-ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। যা সাম্প্রতিক সময়ে দুদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের ক্ষমতায় আসে ইসলামপন্থি সরকার, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয়। প্রকাশ্যে বিশ্বের মানচিত্র থেকে ইসরায়েলকে মুছে ফেলার লক্ষ্য ঘোষণাও করেছিলেন তৎকালীন সরকার প্রধানেরা।
এ লক্ষ্য পূরণের জন্য ইয়েমেনে হুতি, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস,লেবাননে হিজবুল্লাহসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আরও কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গড়ে তুলেছে ইরান। গোষ্ঠীগুলোর মূল লক্ষ্য ইসরায়েলকে ধ্বংস করা এবং তেহরান নিয়মিত এসব গোষ্ঠীকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে ইরানের মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলে চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে আসছিল। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের অতর্কিত হামলার পর গাজায় যখন সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ, সে সময় নতুনভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে হুতি ও হিজবুল্লাহ।
ইরানে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলের পরিচালিত সাম্প্রতিক হামলা ছিল পরিকল্পিত ও নিখুঁত। এ অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ও গোপন ঘাঁটি। এ ছাড়া ছিল গোয়েন্দা তথ্যের নিখুঁত সমন্বয়। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ‘নিখুঁত’ পরিকল্পনায় হামলা চালিয়ে ইরানের সামরিক সক্ষমতায় আঘাত করা হয়।
ইসরায়েল তাদের দিক থেকে ইরানকে বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে অভিযুক্ত করে আসছে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক তৎপরতা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে মিলে নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
ইসরায়েল বহু বছর ধরে ইরানের বিরুদ্ধে গোপন অভিযান চালিয়েছে, যা ছিল দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘ এক ‘ছায়াযুদ্ধ’ যা পরে প্রকাশ্যে আসে।