ইরান ও ইসরায়েল ফের পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) স্থানীয় সময় বিকেলে এ হামলা শুরু হয়।
হামলায় ২০ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে ইরানের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইরানের পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত ‘সামরিক’ অবকাঠামোর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত এই বিবৃতিতে ইসরায়েলি পক্ষ জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর একাধিক ইউনিট আকাশপথে সক্রিয় রয়েছে এবং নির্দিষ্ট সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
এদিকে, এর কিছু সময় পরই ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শুক্রবার বিকেলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরান আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে সতর্কতা সাইরেন বাজছে।’
ফক্স নিউজের মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি ট্রে ইয়িংস্ট জানান, ‘হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আবাসিক এলাকায় আঘাত হেনেছে।’
এ ঘটনায় ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাইরেনের শব্দ শুনে বহু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। এ হামলায় ২০ ইসরায়েলি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, ‘হামলার পর তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে উত্তর ইসরায়েলে দুজন গুরুতর আহত এবং তিনজন হালকা আহত হয়েছেন।
এর আগে ইরান জানিয়েছিল, ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামলা চালাবে। তবে এবার আবাসিক এলাকাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে এবং তারা আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের প্রকৃত চিত্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।