ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপ হয়।
হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, হামলার আগে থেকেই ওয়াশিংটন ও তেলআবিবের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় চলছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হামলার পর পরই এই দুই শীর্ষ নেতা বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগেও ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর সরাসরি বৈঠক হয়েছিল, যেখানে ইরান নিয়ে কৌশলগত আলোচনা হয় বলে ধারণা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ নিশ্চিত করেছে, হামলায় ‘বাঙ্কার বাস্টার’ ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে, যা মাটির গভীরে থাকা সুরক্ষিত স্থাপনায় আঘাত হানার জন্য তৈরি। এসব বোমা ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানের মতো পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে বলেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছি। সব বিমান নিরাপদে ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।’
একই পোস্টে তিনি একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স একাউন্ট থেকে দাবি করেন, ‘শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত ফোরদো কেন্দ্রটি কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’
ইরানের কোম প্রদেশে পাহাড়ের নিচে অবস্থিত ফোরদো কেন্দ্রটি বহু বছর ধরে ইসরাইলের গোপন নজরদারির তালিকায় ছিল। পশ্চিমা দেশগুলোর মতে, এটি ইরানের সবচেয়ে জটিল এবং গোপন পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি।
হঠাৎ এই হামলা এবং নেতানিয়াহু-ট্রাম্প ফোনালাপ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত একটি সামরিক ও কূটনৈতিক বার্তা বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিবিএস নিউজ, ট্রুথ সোশ্যাল, ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স।