ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
রোববার (২২ জুন) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইডিএফ। খবর বিবিসির
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের হুমকি মোকাবিলায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনগণকে সুরক্ষিত একটি স্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল পৌনে ৬টায় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি জানান, ‘ফোর্ডো, নাতানজ এবং ইসফাহান’ কেন্দ্রে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারী সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে অত্যন্ত সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফোর্ডো কেন্দ্রেও বোমা ফেলা হয়েছে। এখন বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে।’
পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
এদিকে, পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই কর্মসূচিকে হুমকি ও যুদ্ধ দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।
রোববার (২২ জুন) ভোরে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান- এই তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায় বলে জানিয়েছে ইরান। দেশটির অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন (এইওআই) বলে, ‘বর্বর এই হামলা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির পরিপন্থি’।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইরান আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা এই হামলার নিন্দা জানায় এবং ইরানের ‘জাতীয় শিল্পে’ সমর্থন জানায়। তাদের অঙ্গীকার- এই জাতীয় শিল্পের অগ্রগতি কখনোই থামবে না।