টানা ১২ দিন যুদ্ধের পর অবশেষে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অবসান ঘটলেও হামাস ইসরায়েলের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটেনি। তবে নতুন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছে ফিলিস্তিনবাসী।
গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারীরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক কর্মকর্তা। এমনকি যুদ্ধবিরতির দাবি এসেছে খোদ ইসরায়েলের ভেতর থেকেই। ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধেরও সময় এসে গেছে।
এদিকে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফেরের দাবি, চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের অনেকেই ত্রাণ সংগ্রহের অপেক্ষায় ছিলেন বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) হামাসের দাবি করা বোমা হামলায় সাত ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
হামাস জানিয়েছে, গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দি ফেরতের বিষয়ে আলোচনা করতে তোড়জোড় করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েল ও ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘গাজা নিয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে’।
ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এ (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায়) আক্রমণের কারণেই গাজায় বড় অগ্রগতি হচ্ছে। আমি মনে করি আমরা শিগগিরই ভালো কিছু শুনতে পাব। তিনি জানান, তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তিনি বলেছেন, ‘গাজায় সমঝোতা খুবই কাছাকাছি।’
এর কিছুক্ষণ পরই হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি নিয়ে জোরালো প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এখনো নতুন কোনো প্রস্তাব আসেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে জানিয়েছেন, আলোচনায় এখনো কোনো অগ্রগতি নেই এবং বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
এর আগে, মে মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের সমর্থনে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাতে হামাস গ্রহণযোগ্য নয়- এমন কিছু সংশোধনী দাবি করলে আলোচনা স্থবির হয়ে যায়।