ইসরায়েল সম্পৃক্ততার অভিযোগে কিছু ইউরোপীয় নাগরিকদের গ্রেপ্তার করার বার্তা দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র। তাদের বিরুদ্ধে আইনি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার (২৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে বিচার বিভাগের মুখপাত্র আছগর জাহাঙ্গীর ইউরোপীয় আটক ব্যক্তিদের পরিচয় বা সংখ্যা উল্লেখ না করেই, ‘বিশ্বাসঘাতক এবং ভাড়াটে’ হিসাবে উল্লেখ করা ব্যক্তিদের মামলা পরিচালনা করার জন্য দেশব্যাপী আদালতে বিশেষ শাখা গঠনের আদেশ জারি করার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ইরানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি ও তথ্য পাঠাচ্ছিলেন। এসব তথ্যের মধ্যে ছিল বিভিন্ন শপিংমলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দোকানের সংখ্যা, স্থাপনার বিন্যাসসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত।
তারা হাইফার গ্র্যান্ড মল, তিবেরিয়াসের বিগ ফ্যাশন, তেলআবিবের ডিজেঙ্গফ সেন্টার ও ইচিলোভ হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর তথ্য সরবরাহ করেছে। সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে অবস্থানকালে তারা নিজেদের লাইভ লোকেশনও ইরানিদের কাছে পাঠাত এবং পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকত।
জাহাঙ্গীর বলেছেন, ‘আমরা ভাড়াটে এবং বিশ্বাসঘাতকদের মামলাগুলো কোনোরকম নমনীয়তা ছাড়াই পরিচালনা করব।’
তিনি আরও যোগ করেছেন যে, বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি এজেই কর্তৃক জারি করা আদেশের সাথে সাথে মামলাগুলো দ্রুত পরিচালনা করা হবে।
তার বক্তৃতার অন্য একটি অংশে, তিনি বলেন যে, বিচার বিভাগ ‘দেশ ও ব্যবস্থার নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ, গুপ্তচরবৃত্তি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং স্বদেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মামলা ‘দৃঢ়ভাবে এবং দ্রুততার সাথে’ পরিচালনা করবে।
এর আগে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা। লাহাভ ৪৩৩ ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এবং শিন বেতের (ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা) যৌথ অভিযানে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ইরানের বিরুদ্ধে ‘জিম্মি কূটনীতি’ গ্রহণের অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় কর্মকর্তা এবং কিছু বেসরকারি সংস্থা। তাদের ভাষ্য ইসলামী প্রজাতন্ত্র তার লক্ষ্য অর্জন এবং দাবি অর্জনের জন্য দ্বৈত-নাগরিক এবং বিদেশি নাগরিকদের আটক করেছে।