ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫

৭ জুলাই হোয়াইট হাউস সফরে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প- নেতানিয়াহুর পূর্ববতী বৈঠকের ছবি। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। সোমবার (৩০ জুন) রাতে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

৭ জুলাই নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউস সফর করবেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটি নেতানিয়াহুর তৃতীয় ওয়াশিংটন সফর হতে যাচ্ছে।

গাজা যুদ্ধের সমাধান ও দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।

যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এখনো এই সফরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সময়সূচি ঘোষণা করেনি।

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বৈঠকে গাজা, ইরান এবং সিরিয়া ইস্যুতে আলোচনা হবে। ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে গাজা যুদ্ধ থামানো এবং বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বর্তমানে ইসরায়েলের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার ওয়াশিংটনে রয়েছেন এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে গাজায় ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধের দ্রুত অবসান। তবে নেতানিয়াহু সরকারের কট্টর অংশীদাররা এ নিয়ে আপত্তি তুলছেন।

গত সোমবার রাতে নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক করেন যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে, তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি বলে একটি সূত্র জানায়।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ট্রাম্প গাজা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘গাজা ও ইসরায়েল থেকে যে চিত্র আসছে তা হৃদয়বিদারক। প্রেসিডেন্ট চান, এই সহিংসতা বন্ধ হোক।’

অপরদিকে, চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজায় সেনা অভিযান অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। 

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রথমেই আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে, তারপর গাজার সংকট সমাধান ও হামাসকে পরাজিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা দুটো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারব।’

তবে তার ডানপন্থি জোটের অংশীদাররা যুদ্ধ বন্ধের বিরোধিতা করছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ বলেছেন, ‘হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি—খুনিদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা নয়। শত্রুকে ধ্বংস করতে আমাদের আরও তীব্র এবং দ্রুতগতির অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।’

উল্লেখ্য, হামাস ৫০ জন জিম্মি আটকে রেখেছে, যাদের মধ্যে ৪৯ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অপহরণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন মৃত, ২০ জন জীবিত এবং দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। হামাস ২০১৪ সালে গাজায় নিহত এক ইসরায়েলি সেনার মরদেহও ধরে রেখেছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ হয়েছে।