ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ১৩৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬২৫ জন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নতুন তালিকা যোগ হওয়ায়, গত ২১ মাসে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
‘তবে আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি’, বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ হাজার ৯২৭। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন ফিলিস্তিনি।
‘২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।
কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৭১০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৩ হাজার ৫৮৪ জন।
যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনো জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি