‘ইসরায়েল’ ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন বি'তসেলেম এবং ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (পিএইচআর) ‘ইসরায়েল’-এর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় গণহত্যার অভিযোগ এনেছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সংস্থা দুটি পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই অভিযোগ দায়ের করে।
বি'তসেলেম বলেছে, ‘ইসরায়েল’-এর নীতি ও রাজনৈতিক-সামরিক নেতাদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ‘গাজায় ফিলিস্তিনি সমাজকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সত্য বলা আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব, গাজায় এখন গণহত্যা ঘটছে।’
সংস্থাটি তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, ‘গাজা শহর প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে—চিকিৎসা, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে; পাশাপাশি ব্যাপক অনাহার ও হত্যাকাণ্ড চলছে। এগুলো স্পষ্টভাবে এমন প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়, যাতে গাজার জনসংখ্যা ধ্বংস হয় এবং জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এতটাই বিপর্যয়কর হয় যে ফিলিস্তিনি সমাজ সেখানে আর টিকে থাকতে না পারে।’
সংস্থাটি আরও মন্তব্য করেছে, ‘এটাই গণহত্যার সঠিক সংজ্ঞা।’
পিএইচআরআই তাদের প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য অবকাঠামোর ওপর সামরিক অভিযানের প্রভাব তুলে ধরে বলেছে, ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে গাজার স্বাস্থ্য ও জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থার ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগত ধ্বংস করা হয়েছে, এটি প্রমাণ বহন করে।’
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক গাই শালেভ বলেছেন, ‘এই ধীরে ধীরে পদ্ধতিগত আক্রমণ বন্ধ করার জন্য ‘ইসরায়েল’-এর কাছে যথেষ্ট সময় এবং যথেষ্ট সুযোগ ছিল।’
‘ইসরায়েল’ দীর্ঘদিন ধরে এসব অভিযোগকে ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’ বলে অস্বীকার করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার চলমান যুদ্ধকে ‘ন্যায়সঙ্গত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :