ফিলিস্তিনের গাজায় মাত্র ২ বর্গকিলোমিটার কৃষিজমি ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও)। এ সময় উপত্যকাটি ‘পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষের’ দ্বারপ্রান্তে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এতে বলা হয়, গাজায় কৃষিকাজের জন্য ব্যবহারযোগ্য জমির পরিমাণ একেবারেই সীমিত— মোট জমির মাত্র ১.৫ শতাংশ, যা প্রায় ২.৩ বর্গকিলোমিটার। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট জরিপে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির ২৮ জুলাই প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, গাজার ৮.৬ শতাংশ জমি প্রবেশযোগ্য হলেও, মাত্র ১.৫ শতাংশ জমিই এখন ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। আরও ১২.৪ শতাংশ জমি অক্ষত থাকলেও, তা জনগণের নাগালের বাইরে। আর ৮৬.১ শতাংশ কৃষিজমি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিরাপদ ও টেকসই মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করে স্থানীয় কৃষি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়ে এফএও’ র মহাপরিচালক কু দোংইউ বলেন, ‘মানুষ খাবারের অভাবে মারা যাচ্ছে না, মারা যাচ্ছে কারণ তারা খাবারের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, পরিবারগুলো ন্যূনতম জীবিকা নির্বাহ করতেও অক্ষম হয়ে পড়েছে।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর আগে উপত্যকাটির অর্থনীতির প্রায় ১০ শতাংশ ছিল কৃষিখাতভিত্তিক। এফএও’র হিসাবে, গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ আংশিকভাবে হলেও কৃষি ও মৎস্যজীবনের ওপর নির্ভর করত।
আপনার মতামত লিখুন :