‘গ্রেটার ইসরায়েল’ মন্তব্যে নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষুব্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো

‘ইসরায়েল’-এর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ প্রসঙ্গে করা মন্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আরব রাষ্ট্রগুলো। তারা সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল সময়ে তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ কথাটি রাজা সলোমনের শাসনামলের বাইবেলীয় সীমান্তের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ধারণা দেয়, যা বর্তমান গাজা ও পশ্চিম তীরের বাইরে জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ার অংশ অন্তর্ভুক্ত করে। চরমপন্থি ‘ইসরায়েলিরা’ এই অঞ্চল দখলের আহ্বান জানিয়ে আসছে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ৫ শর্ত দিলেন নেতানিয়াহু

বিস্তারিত পড়ুন

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম আই২৪নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এই ধারণার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই। যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি কী ভাবি, আমরা ইতোমধ্যেই সেখানে আছি।’

প্রতিবেশী জর্ডান বুধবার এই মন্তব্যকে ‘বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক’ এবং ‘রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’ বলে নিন্দা জানায়। মিসরও এ বিষয়ে ‘ইসরায়েল’র ব্যাখ্যা চেয়েছে।

ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যকে ‘ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা’র প্রমাণ ও ‘রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বে সরাসরি উসকানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। গাজার মধ্যস্থতাকারী কাতারও একে ‘অযৌক্তিক ও উসকানিমূলক’ বলে নিন্দা জানায়।

‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ভিশন বাস্তবায়নে মিশর ও জর্ডান দখলের পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর

বিস্তারিত পড়ুন

সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা ‘ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের উপনিবেশ ও সম্প্রসারণ পরিকল্পনার সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান’ জানায় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক ও আইনি অধিকার পুনর্ব্যক্ত করে।

এ মন্তব্য আসে এমন সময়ে, যখন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার ডানপন্থি সদস্যরা গাজা দখল ও পশ্চিম তীর সংযুক্তির আহ্বান জানাচ্ছেন এবং সেখানে নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।