গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর জানিয়েছে, বুধবার (০১ অক্টোবর) ভোরের আগে অজ্ঞাত কয়েকটি জাহাজ তাদের নৌকার কাছে পৌঁছায়। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় প্রায় ৫০০ যাত্রী বহনকারী ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌকা আছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সংসদ সদস্য, আইনজীবী ও সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ। ফ্লোটিলার লক্ষ্য ফিলিস্তিনের উপত্যকায় ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙা।
আয়োজকদের বিবৃতি বলছে, তারা গাজার দিকে প্রায় ১২০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এগোতে চেয়েছিল, যেখানে পূর্ববর্তী নৌবহরগুলোকে বাধা দেওয়া বা আক্রমণ করা হয়েছে। ফ্লোটিলার কাছে আসা অজ্ঞাত জাহাজগুলো কে পরিচালনা করত তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ফ্লোটিলার ইনস্টাগ্রাম পেজে প্রকাশিত ভিডিওতে বলা হয়েছে, একটি ইসরায়েলি সামরিক জাহাজ তাদের নৌকাগুলোর কাছে এসে ‘বিপজ্জনক কৌশল’ করেছে এবং যাত্রা শুরু করার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ড্রোন দিয়ে ফ্লোটিলায় আক্রমণ করা হয়েছে। তাদের ওপর স্টান গ্রেনেড ও চুলকানি গুঁড়া ফেলা হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে, তবে কোনো প্রতিষ্ঠান আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানা যায়নি।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় তাদের নৌ অবরোধ বৈধ এবং তারা নৌকাগুলোকে গাজা পৌঁছাতে বাধা দিতে সব উপায় ব্যবহার করবে।
ইতালি ও স্পেন নৌবহরের সামরিক জাহাজ ফ্লোটিলার সঙ্গেই মোতায়েন করেছে। তারা বলেছে, নৌবহরকে মানবিক সহায়তা বা উদ্ধার প্রয়োজন হলে সহায়তা করা হবে, কিন্তু সরাসরি সামরিক জড়িত হবে না। তুরস্কি ড্রোনও নৌকাগুলোকে অনুসরণ করছে।
ইতালি জানায়, গাজার ১৫০ নটিক্যাল মাইল (২৭৮ কিলোমিটার) এসেই তাদের নৌবাহিনী নৌবহরকে অনুসরণ করা বন্ধ করবে।
স্পেন জানিয়েছে, তারা প্রয়োজন হলে তাদের উদ্ধার জাহাজ দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অঞ্চলে প্রবেশ করবে না। কারণ এতে তাদের ক্রু ও জাহাজের সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়বে।