ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের পাঁচ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এ হামলা চালায় তারা। গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও রাফাতে হামাসের প্রায় ২০০ যোদ্ধা আটকা পড়েন। তারা সুড়ঙ্গের ভেতর অবস্থান নিয়ে আছেন। যে যোদ্ধাদের আজ ইসরায়েল হত্যা করেছে তারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন।
যুদ্ধবিরতির পরও রাফার প্রায় পুরো অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এ কারণে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের যোদ্ধারা সেখানে আটকে যান। তাদের জীবিত বের করে গাজার অভ্যন্তরে বা অন্য কোনো দেশে পাঠানোর ব্যাপারে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর আলোচনা চলছিল। এরমধ্যেই পাঁচজনকে হত্যা করেছে তারা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নাহাল ব্রিগেড এই হামলা চালায়। তারা দাবি করেছে, হামাসের যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে আসছিল। দখলদাররা বলেছে, তারা এমনভাবে আসছিল যা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠেছিল। এ কারণে তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েল শর্ত দিয়েছিল, হামাসের আটকে থাকা ২০০ যোদ্ধাকে তাদের কাছে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরপর তাদের ছাড়া হবে। আর কয়েকজনকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু দখলদারদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে হামাস বলেছিল, তাদের যোদ্ধারা কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না।

