ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরে আরও ৭৬৪টি বসতবাড়ি নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ও অতিরাষ্ট্রবাদী নেতা বেজালেল স্মোট্রিচ।
তিনি জানান, ২০২২ সালের শেষ দিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার মেয়াদে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি বসতি নির্মাণ পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে আরও কঠিন করে তুলছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদাইনা বলেন, ইসরায়েলের দখলদার নীতি ও সংযুক্তিকরণের চেষ্টা বন্ধ করতে ওয়াশিংটনকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।
নতুনভাবে অনুমোদিত বাড়িগুলোর নির্মাণ হবে হাশমোনাইম, গিভাত জিভ এবং বেইতার ইলিত—এই তিন বসতিতে, যেগুলো গ্রিন লাইন অতিক্রম করে দখলকৃত এলাকায় স্থাপিত। আন্তর্জাতিক সমাজ ও জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাবে এই বসতি স্থাপনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পিএলও-র নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, আমাদের কাছে সব বসতিই অবৈধ। আন্তর্জাতিক আইনেও এগুলো বৈধতা পায় না।
অন্যদিকে ইসরায়েল দাবি করে, এসব বসতি তাদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি এবং তাদের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক দাবির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত অক্টোবরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিবাসীদের দ্বারা ২৬৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে—যা ২০০৬ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর সবচেয়ে বেশি।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন