ঢাকা শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

মানুষ নয়, এবার ম্যালেরিয়ার ওষুধ পাবে মশা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
প্রতীকী ছবি

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এবার মানুষের শরীরে নয়, বরং মশার শরীরেই প্রয়োগ করা হবে ওষুধ। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমন অভিনব পদ্ধতির সন্ধান পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ছয় লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় মারা যান, যার বড় একটি অংশই শিশু। নারী-মশা যখন রক্ত পান করে, তখন ম্যালেরিয়ার পরজীবী মানুষের দেহে প্রবেশ করে।

এতদিন ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে মূলত কীটনাশক বা মশা নিধনের ওপরই নির্ভর ছিল চিকিৎসাব্যবস্থা। তবে দীর্ঘদিনের ব্যবহারে অনেক দেশে কীটনাশকের কার্যকারিতা কমে এসেছে।

গবেষকরা দেখেছেন, দুটি নির্দিষ্ট ওষুধ মশার শরীরে প্রয়োগ করলে ম্যালেরিয়ার পরজীবী সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে এই মশাগুলো কামড়ালেও আর ম্যালেরিয়া ছড়ায় না।

কীভাবে ওষুধ পৌঁছাবে মশার শরীরে?

মানুষ যেহেতু মশারির নিচে ঘুমায়, সেই মশারিতেই মাখিয়ে দেওয়া হবে ওষুধ। মশা যখন মশারিতে বসবে, তখন পা দিয়ে ওষুধ তার শরীরে প্রবেশ করবে। মশাটি মারা না গেলেও, তার শরীরে থাকা ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে।

গবেষকদের দাবি, একবার ওষুধ মাখানো মশারি এক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এটি সস্তা, সহজলভ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।

গবেষণাগারে এই পদ্ধতির সফলতা এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এর পরের ধাপ হিসেবে ইথিওপিয়ায় এই ম্যালেরিয়ারোধী মশারি ব্যবহার করে দেখা হবে নিয়মিত ব্যবহারে তার কার্যকারিতা কেমন।

সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ছয় বছরের মধ্যে এই মশারি সাধারণ মানুষের ঘরেও পৌঁছে যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।