চীনের মধ্যস্থতায় পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান । উভয় রাষ্ট্রই নতুন করে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে দুটি দেশে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এই ঐকমত্য আসে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ত্রিপক্ষীয় এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে, যেখানে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন।
বৈঠকটি ছিল চীনের বৃহত্তর আঞ্চলিক শান্তি ও সংযোগ নীতির অংশ, যা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়টিকে উভয় দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বেইজিং বৈঠকে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের অঙ্গীকারও উঠে আসে। বিশেষ করে আফগানিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগ এই আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
পাকিস্তানের দাবি, ২০২৪ সাল থেকে দেশটিতে বর্ধমান সন্ত্রাসী হামলা ৭০ শতাংশের জন্য আফগান টিটিপি ঘাটি দায়ী।
প্রসঙ্গত, তালেবান ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এখনো কোনো দেশ তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে এবং তালেবান নিয়োগকৃত রাষ্ট্রদূতদের নিজেদের দেশেও স্বাগত জানিয়েছে।
এর বিপরীতে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এখনো একে অপরের রাজধানীতে কেবল ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স’ (অস্থায়ী কূটনীতিক) নিয়োগেই সীমাবদ্ধ ছিল।