লন্ডনে তুরস্কের কনসুলেটের সামনে পবিত্র কোরআন আগুন দিয়ে পোড়ানো এক ব্যক্তিকে ধর্মীয় উসকানিমূলক জনশৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আদালত।
সোমবার(২ জুন) লন্ডনের একটি আদালত ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেছেন।
তবে সমালোচকরা বলছেন, এই রায় কার্যত ইংল্যান্ডে ২০০৮ সালে বাতিল হওয়া ধর্মদ্রোহ আইনের ফিরে আসার মতো।
৫০ বছর বয়সী হামিত কসকুনকে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ২৪০ পাউন্ট (প্রায় ৩২৫ ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। তিনি ফেব্রুয়ারিতে তুর্কি কনসুলেটের কাছে পবিত্র কোরআন জ্বালিয়ে চিৎকার করে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
কসকুনের আইনজীবী বলেন, এটি যেন ইংল্যান্ডে ধর্মদ্রোহ আইন ফেরত আনার চেষ্টা। কসকুন নিজেও অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনি তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ কাজ করেছিলেন। ঘটনার সময় এক ব্যক্তি তাকে ছুরি হাতে আক্রমণ করে, লাথি মারে এবং থুতু ছিটায়।
বিচারক জন ম্যাকগার্ভা বলেন, ‘কোনো ধর্মীয় বই পোড়ানো অনেকের কাছে আঘাতজনক হলেও সেটি একাই জনশৃঙ্খলাভঙ্গের মতো নয়। তবে ঘটনাস্থল ও সময় বিবেচনায় এবং গালি-গালাজসহ ইসলাম ধর্মকে লক্ষ্য করে করা ভাষা ব্যবহারের কারণেই এটি অপরাধ হয়েছে।’
ন্যাশনাল সেকুলার সোসাইটি (এনএসএস), যারা কসকুনের আইনি খরচে সহায়তা করেছে। এনএসএস বলেছে, এই মামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর বড় আঘাত। ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিও একমত।
তাদের বক্তব্য, ‘ব্রিটেনে কোনো ধর্মদ্রোহ আইন নেই। অথচ এই রায় বাস্তবে এমন একটি আইন তৈরি করে ফেলেছে। সংসদ কখনও এমন কিছু পাস করেনি, জনগণও এটা চায় না। এই সিদ্ধান্ত ভুল।’
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :