যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব এবং কাতারের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এই যুদ্ধবিরতিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য ‘সবচেয়ে বড় পরাজয়’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অ্যান্থনি গ্লেস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্লেস বলেন, আমরা যা দেখছি, এ মুহূর্তে বলতে পারি ইরান সরকারই বিজয়ী। ট্রাম্পও নয়, নেতানিয়াহু তো অবশ্যই নয়। নেতানিয়াহু সারাজীবন ইরানের আয়াতুল্লাহ সরকারের পতন চেয়েছেন, কিন্তু তিনি তা অর্জন করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুই সবচেয়ে পরাজিত ব্যক্তি।
বিশ্লেষকের মতে, ইসরায়েল ইরানে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে সামরিক হামলা চালিয়েছিল, যা অনেকের মনে ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। কিন্তু বাস্তবতা হলো-ইসরায়েলের জনসংখ্যা যেখানে মাত্র ৯০ লাখ, সেখানে ইরানের জনসংখ্যা ৯ কোটিরও বেশি। দুই দেশের মধ্যে যদি পূর্ণমাত্রার ক্ষয়ক্ষতির যুদ্ধ হতো, তাহলে ইরানই জয়ী হতো বলে মত গ্লেসের।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও তা ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির মুখে ইসরায়েল শেষপর্যন্ত চুক্তি ভঙ্গ থেকে সরে আসে। এমনকি ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে প্রকাশ্যে অপমানও করেছেন, ‘এফ-বোমা’ ব্যবহার করে।
-20250625000907.webp)
অ্যান্থনি গ্লেস সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতি প্রায়ই ভঙ্গ হয়। বিশেষ করে যেসব দেশের যোগাযোগব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের জন্য সেনাদের কাছে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ পৌঁছাতেই সময় লেগে যায়।
সূত্র: দ্য মিরর
