ইরানের বিরুদ্ধে ‘সমস্ত নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম প্রক্রিয়া’ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
সংবাদপত্রটির মতে, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, ট্রেজারি বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে সমস্ত নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের প্রচারণা স্থগিত হয়ে গেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দেওয়া মন্তব্যে এই তথ্য সরাসরি অস্বীকার করেননি ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি। তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত যেকোনো নতুন সিদ্ধান্ত হোয়াইট হাউস বা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ঘোষণা করবে।’
সংবাদপত্রটির মতে, ওয়াশিংটন সর্বশেষ ২১ মে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং ট্রেজারি বিভাগ তখন থেকে কমপক্ষে দুইবার নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা স্থগিত করেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, তেল বিক্রি ও জব্দ করা ইরানি সম্পদের ওপর প্রধান নিষেধাজ্ঞাগুলো সম্ভবত বহাল থাকবে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এই স্থগিতাদেশের সময়কাল এবং সুযোগ সম্পর্কে স্পষ্টতার অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তারা বিশ্বাস করেন, এই স্থগিতাদেশের উদ্দেশ্য হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আলোকে ভবিষ্যতের নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থাগুলো সাবধানতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করা।
৩০ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ওয়াশিংটন এবং তেহরান অদূর ভবিষ্যতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে।
২৩ মে ইরান ও মার্কিন প্রতিনিধিরা রোমে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পঞ্চম দফা আলোচনা করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু কোনোকিছুই চূড়ান্ত নয়।’
আলোচনার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ‘তেহরান এবং ওয়াশিংটন নতুন দফা আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, আগামী এক বা দুটি বৈঠকে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন সম্ভব হবে।’
সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
আপনার মতামত লিখুন :