শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

বাইডেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংহৃহীত

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংহৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি জো বাইডেন এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার এক সরকারি নির্দেশনার মাধ্যমে এই তদন্তের সূচনা হয়। 

ট্রাম্পের দাবি, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বাইডেন মানসিকভাবে অক্ষম ছিলেন এবং এই তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে, বাইডেনের নীতিগত সিদ্ধান্তে তার প্রকৃত সম্পৃক্ততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে, বাইডেন অনেক সময় নথিপত্রে নিজের হাতে স্বাক্ষর না করে একটি যান্ত্রিক কলম, যা ‘অটোপেন’ নামে পরিচিত, সেটি ব্যবহার করতেন। 

তার মতে, এই পদ্ধতিতে স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। ট্রাম্পের দাবি, এর মাধ্যমে আমেরিকান জনগণ জানতেই পারেনি যে প্রকৃতপক্ষে কারা দেশটি চালাচ্ছিলেন।

সাবেক প্রেসিডেন্টের মানসিক অবস্থা নিয়ে ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও তিনি বাইডেনকে মানসিকভাবে অযোগ্য বলে অভিহিত করেন। 

ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সম্পর্কে তার আশপাশের লোকজন অবগত থাকলেও তা গোপন রেখেছিলেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইয়েও বাইডেনের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের দুর্বলতার বিষয়টি উঠে এসেছে। বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাইডেন কখনো কখনো ঘনিষ্ঠ পরিচিতদেরও চিনতে পারতেন না, যেমন এক ঘটনায় তিনি অভিনেতা জর্জ ক্লুনিকে চিনতে ভুল করেছিলেন।

বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয় যখন জানা যায় যে তার প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছিল। এই তথ্যও বাইডেনের ঘনিষ্ঠরা আগে থেকেই জানতেন কিন্তু জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে, যা ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে।

তদন্তকারীরা বাইডেনের প্রেসিডেন্সির শেষ দিকে তার বিতর্ক অংশগ্রহণে দুর্বলতা, সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত আচরণকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। 

তার সময়কার নীতিমালা ও নির্বাহী আদেশগুলোর পেছনে কারা সিদ্ধান্তে প্রভাব রেখেছিলেন এবং ‘অটোপেন’-এর মাধ্যমে কী ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখা হবে।

উল্লেখ্য, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভ্যন্তরেও বাইডেনকে নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। নির্বাচনের আগেই তাকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। 

শেষ পর্যন্ত বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দিয়ে নিজে সরে দাঁড়ান, তবে তিনিও ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।


তথ্যসূত্র: বিবিসি

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!