ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে মাত্র ২০ মিনিটেই অভিযান শেষ করার দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় ইরানকে ‘বোকা’ বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে সাতটি বি-২ স্টিলথ স্পিরিট বোমারু বিমান। আরও ১২৫টি বিমান অংশ নিয়েছিল তেহরানের বিরুদ্ধে ‘উন্মুক্ত যুদ্ধে’।
রোববার (২২ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল ‘কৌশলগত বিস্ময়’। এ জন্য অপারেশনের একটি অংশ পশ্চিম ও প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হয়, যাতে ইরানি বাহিনী বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। অভিযানটি ছিল অতি গোপনীয়।
মাত্র ২০ মিনিটে ইরানের অভিযান সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করে কেইন বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১২৫টিরও বেশি বিমান অভিযানে অংশ নেয়। এসব বিমানের মধ্যে ছিল বি-২ স্টিলথ, ট্যাঙ্কার রিফুয়েলিং, রিকনেসেন্স প্লেন ও যুদ্ধবিমান। বোমারু বিমানগুলো সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ফোর্ডো, নাতানজ ও ইস্পাহানে আঘাত হানে এবং সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ইরানের আকাশসীমার বাইরে চলে যায়।’
তিনি বলেন, এই অভূতপূর্ব অভিযানে সাতটি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানের মধ্যে দুটি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্ডো ও নাতানজে এক ডজনেরও বেশি ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর বোমা ফেলেছে। এবং ইস্ফাহানে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার পর্যন্ত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামারে’র সময়সীমা ছিল। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোমারু বিমান নিয়ে একটি বৃহৎ বি-২ স্ট্রাইক প্যাকেজ যাত্রা শুরু করে বলে জানান কেইন।
তিনি বলেন, ‘মূল আক্রমণকারী দলটিতে ছিল সাতটি বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান। প্রতিটি বিমানে দুজন করে ক্রু সদস্য ছিলেন। তারা ন্যূনতম যোগাযোগ রেখে নিঃশব্দে পূর্ব দিকে অগ্রসর হন।’
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার (নাইন/ইলেভেন) পর মিসৌরির ঘাঁটি থেকে বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানের এটিই ছিল দীর্ঘতম অভিযান। অভিযানের অংশ হিসেবে ইরানের অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক ডজন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :