আগামী সপ্তাহেই ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরান এই বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এদিকে যুদ্ধবিরতির পর ইরানের সঙ্গে কি নিয়ে আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প? যা জানতে বিশ্ববাসীর চোখ হোয়াইট হাউসের দিকে।
আলোচনার বিষয়বস্তু
- যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনায় তিনটি মূল দাবি উপস্থাপন করা হতে পারে।
- ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা।
- ইরানের বিদ্যমান উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ অপসারণ।
- ভবিষ্যতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে সীমাবদ্ধতা আরোপ।
এর আগেও তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমেরিকা ও ইরান বেশ কয়েক দফা আলোচনায় লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ জুন ইসরায়েল অতর্কিতভাবে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ রব তৈরি হয়। পাল্টা জবাব দেয় ইরানও। ফলে পরিস্থিতি দ্রুত ঘোলাটে হতে থাকে।
ইরানের পাল্টা হামলায় ব্যর্থ হয়ে যায় ইসরায়েলের গর্বের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’। নাস্তানাবুদ তেল আবিব সাহায্য চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে সরাসরি ইরানের বিপক্ষে অবস্থান নেবে কি না, সে নিয়ে কড়া হিসাব-নিকাশ চলে হোয়াইট হাউসে।
অবশেষে সব হিসাব-নিকাশ শেষে চলতি মাসের ২২ তারিখে ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালায় ট্রাম্প প্রশাসন। যা রীতিমতো মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় ঘি ঢালে।
মার্কিন হামলার জবাবে চলতি মাসের ২২ তারিখে কাতার ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় বিশ্ব মোড়লদের দম্ভ।
এরপর কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইরানের কাছে ‘হাত জোড়’ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নানা নাটকীয়তা শেষে অবসান ঘটে দুই দেশের যুদ্ধবিরতি।