ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

ইরানে ফের কেন হামলা করতে চান ট্রাম্প?

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি- সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ৩ দিন পার না হতেই  আবারও ইরানে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন  বক্তব্যের পর প্রশ্ন  উঠেছে ইরানে মূলত তিনি কি করতে চাচ্ছেন? 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা নির্মূল, রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে ডিপ্লোম্যাটিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তিনি ইরান ইস্যুতে নিজের অবস্থানে শক্তিশালী করতে চান। যাতে পারমাণবিক হুমকি রোধ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক দ্বৈতভাবে বজায় থাকে।

পারমাণবিক প্রোগ্রাম বন্ধ করা

পারমাণবিক শক্তিধর ইরান মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্যের জন্য হুমকি। আমেরিকার শর্ত ছাড়া কেউ পারমাণবিক কর্মসূচি চালাতে পারবে না- এই  বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

ট্রাম্পের কাছে আইএইএর গুরুত্ব

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নিরপেক্ষ। সংস্থাটির দেওয়া প্রতিবেদন অন্যান্য দেশ বিশেষত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা রাশিয়া-চীনও মেনে নিতে বাধ্য। জেসিপিওএ চুক্তিতে আইএইএ তদারকির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ট্রাম্প তা বাতিল করলেও এখন নতুন শর্তে আবার সে কাঠামো ব্যবহার করতে চান, তবে আরও কঠোর রূপে।

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চাপ সৃষ্টি

তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা: ইরান যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল বিক্রি করতে না পারে, সে জন্য ব্যাংকিং ও বিমা নিষেধাজ্ঞা দিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে বাধা: ইরানের ডলার লেনদেন বন্ধ, এসডব্লিউএফটি থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি। যে দেশ বা কোম্পানি ইরানের সাথে ব্যবসা করবে, তাদের ওপরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সামরিক হুমকি দিয়ে ভয় ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি

ইসরায়েলের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া:  ইসরায়েলের সাথে একত্র হয়ে পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নজির: ইরানের ৩টি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বন্ধে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মধ্যপ্রাচ্যে সক্ষমতা প্রদর্শন ও কূটনীতি তৎপরতা 

শক্তির প্রদর্শনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা যায়, দুর্বলতা দেখালে যুদ্ধ আসে, এই যুক্তিতেই কাজ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ লক্ষ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক তৎপরতা ও কূটনৈতিক বার্তা সমান্তরালভাবে চালাচ্ছেন তিনি।