ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

গাজায় আগামী সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
বেইত লাহিয়ায় ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণের জন্য ফিলিস্তিনিরা জড়ো হচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প মনে করেন ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে’ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হবে। শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এই আশার কথা জানান।

ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টায় জড়িত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শীর্ষ সহযোগী কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার গাজা ও ইরান নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করবেন বলে খবরের মধ্যে এই মন্তব্য এসেছে।

ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সংঘাতের পর ট্রাম্প হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছেন এবং আব্রাহাম চুক্তি সম্প্রসারণের চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে।

সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন উপস্থাপন করার পর ট্রাম্প গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনকে (জিএইচএফ) ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার সাম্প্রতিক মার্কিন সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন, যা গত এক মাস ধরে গাজা উপত্যকার সামরিকায়িত অঞ্চল থেকে খাদ্যের বাক্স বিতরণ করে আসছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘গাজায় এটি একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে... এবং আমরা সেই অঞ্চলে প্রচুর অর্থ ও প্রচুর খাবার সরবরাহ করছি। কারণ আমাদের তা করতে হবে।’ তাত্ত্বিকভাবে, আমরা এতে জড়িত নই, কিন্তু আমরা জড়িত কারণ মানুষ মারা যাচ্ছে। আমি সেইসব মানুষের ভিড়ের দিকে তাকাই যাদের খাবার নেই, কিছুই নেই।’

ট্রাম্প তখন দুঃখ প্রকাশ করেন যে কিছু সাহায্য ‘খারাপ লোকদের’ দ্বারা চুরি করা হচ্ছে। নতুন জিএইচএফ ব্যবস্থা ‘বেশ ভালো’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কিন্তু জিএইচএফ প্রায় প্রতিদিনই ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য দেশেরও সাহায্য সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য দেশগুলো জিএইচএফ থেকে দূরে রয়েছে, কারণ এর বিতর্কিত ব্যবস্থার কারণে গাজাবাসীদের দীর্ঘ দূরত্ব হেঁটে খাদ্য সংগ্রহ করতে হয় এবং আইডিএফের লাইন অতিক্রম করতে হয়।

গত মাসে গড়ে প্রতিদিন মাত্র ৫৬টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। কিন্তু সাহায্য গোষ্ঠীগুলো বলছে, তীব্র চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন শত শত ট্রাক প্রয়োজন।