যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি সমাজে কোটিপতিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিসি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন সমাজে কোটিপতি থাকা উচিত নয়। কারণ, এটি অসমতার এক চরম রূপ। তিনি বলেন, ‘কোটিপতির ফলে একদিকে মানুষ বিপুল অর্থ অর্জন করে, অন্যদিকে অনেক মানুষ অভাবে থাকে।’
এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ক্রিস্টেন ওয়েলকার তাকে প্রশ্ন করেন- আপনি নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট বলেন। আপনি কি মনে করেন কোটিপতিদের থাকার অধিকার আছে?
উত্তরে মামদানি বলেন, ‘আমি মনে করি না আমাদের সমাজে কোটিপতি থাকা উচিত। কারণ, এটি অসমতার এক চরম রূপ। কোটিপতির ধারণা মানুষকে একদিকে বিপুল অর্থ অর্জনে সহায়তা করে, অন্যদিকে অনেককে দরিদ্র করে। আমাদের শহরে, রাজ্যে এবং গোটা দেশে আরও বেশি সমতা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ধনীদের সঙ্গেও কাজ করতে প্রস্তুত, যেন আমরা সবাই মিলে একটি ন্যায়সঙ্গত শহর গড়ে তুলতে পারি।’
চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক মেয়র পদপ্রার্থিতায় সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করে সবাইকে চমকে দেন ৩৩ বছর বয়সি জোহরান মামদানি।
নির্বাচিত হলে মামদানি হবেন নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম ও এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে মামদানি বলেন, ‘নেলসন ম্যান্ডেলার ভাষায়: এটি সবসময়ই অসম্ভব মনে হয় যতক্ষণ না এটি হয়ে যায়। বন্ধুরা, এটি সম্পন্ন হয়েছে। আর আপনারাই এটি সম্ভব করেছেন। আমি গর্বিত নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থী হতে পেরে।’
মিট দ্য প্রেস-এ তিনি জানান, নিউইয়র্ক শহরে প্রতি চারজনের একজন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন। তিনি শহরটিকে এমনভাবে গড়তে চান যেন যাদের পরিশ্রমে এ শহর গড়ে উঠেছিল তাদের সামর্থ্যের মধ্যে বাসযোগ্য হয়।
আপনার মতামত লিখুন :