নিজেকে নিবন্ধিত নার্স দাবি করে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার অভিযোগে ২৯ বছরের তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম এটাম বারডিসা। পুলিশ জানিয়েছে, তার প্রকৃত কোনো নার্সিং লাইসেন্স নেই। নার্স সেজে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অ্যাডভেন্টহেলথ পাম কোস্ট পার্কওয়ে হাসপাতালের। ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে বারডিসা ৪ হাজার ৪৮৬ জন রোগীকে পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন।
তবে, তার প্রকৃত কোনো নার্সিং লাইসেন্স নেই বলে নিশ্চিত করেছ ফ্লোরিডান পুলিশ। বর্তমানে বারডিসাকে পেরি হল বন্দি কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এবং জামিন পেতে তাকে গুণতে হবে ৭০ হাজার ডলার।
বারডিসার যোগ্যতা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্দেহ প্রকাশ করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সন্দেহ থেকেই তার সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। বেরিয়ে আসে আসল সত্য।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অ্যাডভেন্টহেলথ পাম কোস্ট পার্কওয়ে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বারডিসা। তিনি এক প্রকৃত নার্সের লাইসেন্স নম্বর ব্যবহার করে চাকরি নেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বারডিসা দাবি করেন, তিনি সদ্য বিবাহিত এবং পদবি বদলের কারণে লাইসেন্সের নামের পার্থক্য হয়েছে। তবে তাকে বিয়ের সনদপত্র জমা দিতে বলা হলেও তিনি তা দেননি।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে পদোন্নতির প্রস্তাব দেওয়া হলে এক সহকর্মী বুঝতে পারেন যে তার নার্সিং সহকারী লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয় এবং সাত মাসের তদন্ত শুরু হয়।
তদন্ত শেষে বারডিসার বিরুদ্ধে লাইসেন্স ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা পেশায় কাজ করার সাতটি এবং পরিচয় জালিয়াতির আরও সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫ আগস্ট তাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার পরনে হাসপাতালের স্ক্র্যাব ছিল।
বর্তমানে বারডিসাকে পেরি হল বন্দি কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তার জামিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার ডলার। ফ্ল্যাগলার কাউন্টির শেরিফ রিক স্ট্যালি বলেন, ‘এটি আমাদের দেখা অন্যতম ভয়াবহ চিকিৎসা জালিয়াতির ঘটনা। এই নারী হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছেন।’
সূত্র: বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :