যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। কুখ্যাত শিশু যৌন নিপীড়নকারী জেফরি এপস্টেইনের মাধ্যমেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার পরিচয় হয়েছিল বলে দাবি করায় হান্টার বাইডেনকে এ হুমকি দিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। মেলানিয়ার আইনজীবীরা হান্টারের দাবিকে ‘মিথ্যা, অবমাননাকর, মানহানিকর ও উত্তেজনাপূর্ণ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হান্টার বাইডেনের এক আইনজীবীর কাছে পাঠানো চিঠিতে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার আইনজীবীরা লিখেছেন, হান্টার বাইডেন যেন নিজের ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন ও ক্ষমা চান। নইলে ‘১০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণের’ মামলা মোকাবিলা করতে হবে।
চলতি মাসের শুরুতে এক সাক্ষাৎকারে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে মেলানিয়ার নাম জড়িয়ে এ কথা বলেন হান্টার বাইডেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে এপস্টেইনের অতীত সম্পর্কের কঠোর সমালোচনাও করেন।
মেলানিয়ার পাঠানো আইনি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিক মাইকেল উলফের বক্তব্যের ওপর আংশিকভাবে নির্ভর করে হান্টার বাইডেন এমন মন্তব্য করেছেন। মাইকেল উলফ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে একটি সমালোচনামূলক জীবনী লিখেছেন।
সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ডেইলি বিস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে উলফ কয়েকবার দাবি করেন, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার যখন তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে আলাপ হয়, তখন তিনি এপস্টেইনের একজন সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
হারপারস বাজারের ২০১৬ সালের জানুয়ারি সংখ্যার একটি প্রোফাইলে বলা হয়েছে, মেলানিয়া ও ট্রাম্পের পরিচয় হয় ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে একটি মডেলিং এজেন্সির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।
মেলানিয়া সে সময় বলেছিলেন, ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প মেলানিয়ার ফোন নম্বর চেয়েছিলেন। কিন্তু মেলানিয়া তা দিতে অস্বীকার করেন। কারণ সে সময় ট্রাম্প অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। ২০০৫ সালে বিয়ে হয় ট্রাম্প-মেলানিয়ার।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু ছিলেন এপস্টেইন। তবে ট্রাম্প বলেছেন, ২০০০ সালের শুরুর দিকে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায়। কারণ ট্রাম্পের ফ্লোরিডার গলফ ক্লাবের কর্মীদের সঙ্গে এপস্টেইন অশোভন আচরণ করেছিলেন।
শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হওয়া মামলায় ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এপস্টেইন। তার বিচারকাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছিল। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের একটি কারাগার থেকে এপস্টেইনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এপস্টেইন আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, এ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। পরে বিচার বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এপস্টেইন আত্মহত্যা করেছেন।