বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক অবৈধ ঘোষণা করায় আদালতের কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, এসব শুল্ক না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত এবং সামরিক শক্তিও ভেঙে পড়ত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপিল আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা বেশিরভাগ শুল্ক আইনসংগত নয় বলে রায় দেওয়ার পর রোববার (৩১ আগস্ট) তিনি এ মন্তব্য করেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
নিজের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘শুল্ক ছাড়া এবং ইতোমধ্যে আমরা যে ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্ব সংগ্রহ করেছি তা ছাড়া, আমাদের দেশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত, আর সামরিক শক্তি মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।’
তিনি আরও বলেন, “৭-৪ ভোটে ‘চরম বামপন্থি বিচারপতিরা’ এসব শুল্ক বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে একজন ডেমোক্র্যাট বিচারপতি, যাকে ওবামা নিয়োগ দিয়েছিলেন, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলস ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা একাধিক শুল্ক অবৈধ ঘোষণা করে। আদালত রায়ে জানায়, প্রেসিডেন্ট জরুরি ক্ষমতা আইনের অপব্যবহার করে এ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা অভূতপূর্ব মাত্রায় নির্বাহী ক্ষমতার সীমালঙ্ঘন। সংবিধান অনুযায়ী কর ও শুল্ক আরোপের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে।
তবে আদালত জানিয়েছে, আপাতত শুল্ক বহাল থাকবে। রায়ের কার্যকারিতা অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে, যাতে ট্রাম্প প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারে।
এর আগে গত শুক্রবারে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘সব শুল্ক এখনো বহাল আছে! একটি অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট আপিল আদালত ভুলভাবে বলেছে, এগুলো বাতিল হওয়া উচিত। কিন্তু তারা জানে, শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই জিতবে। এই শুল্ক তুলে দেওয়া হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু আমাদের শক্ত থাকতে হবে।’
