ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। তবে তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা খোলাসা করেননি তিনি।
ভেনেজুয়েলা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রোববার ট্রাম্পের কাছে মাদুরোর সঙ্গে আলাপের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। তখন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে অবস্থান করছিলেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। উত্তরটা হলো—হ্যাঁ হয়েছে।’
ট্রাম্প এখন স্বীকার করলেও দুই নেতার মধ্যে আলাপের বিষয়টি আগেই প্রকাশ করেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চলতি মাসের শুরুর দিকে মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সেখানে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়।
ফোনকলের বিষয়টি এমন সময় ট্রাম্প স্বীকার করলেন, যখন ভেনেজুয়েলা ঘিরে একের পর এক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আবার কূটনীতির দরজাও বন্ধ করছেন না। শনিবারই তিনি বলেছিলেন, ‘ভেনেজুয়েলার ওপর এবং আশপাশে আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ বলে বিবেচনা করতে হবে।’
তবে আকাশসীমা বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় আক্রমণ করতে যাচ্ছে কি না—এ নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা দেখা দেয় কারাকাসে। আসলেই সামনে হামলা হতে যাচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এ নিয়ে বাড়িয়ে কিছু ভাবার দরকার নেই।’
ভেনেজুয়েলা ঘিরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা কয়েক মাস ধরে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের পেছনে কারাকাসকে দুষছে ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিও বাড়ানো হয়েছে। ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় গোপন সিআইএ অভিযান চালানোর অনুমোদনও দিয়েছেন।
তবে মাদকসংক্রান্ত অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মাদুরো বলেছেন, ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চান। ভেনেজুয়েলার জনগণ ও সামরিক বাহিনী এমন কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।



