রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০১:৫০ এএম

শ্লীলতাহানির অভিযুক্ত শিক্ষক

হাফিজুল হলেন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০১:৫০ এএম

হাফিজুল হলেন যৌন হয়রানি  প্রতিরোধ কমিটির সদস্য

শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজুল ইসলাম হয়েছেন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির প্রথম সদস্য।

তার বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি করে ক্ষমতার অপব্যবহারের লিখিত অভিগোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে তৎকালীন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের স্বতঃস্ফূর্ত প্রচারণাসহ জুলাই আন্দোলনে জবির অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। ফলে এই কমিটিতে সদস্য করায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ ও ২০১১-১২ সেশনের দুই শিক্ষার্থী তৎকালীন জবি উপাচার্যের কাছে যৌন হয়রানি ও ভয় প্রদর্শনের লিখিত অভিযোগ করেন ড. হাফিজুলের বিরুদ্ধে। সেখানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন,  ড. হাফিজুল বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে এবং ভয় দেখিয়ে তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের মে মাসে দর্শন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরীক্ষার হলে লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে, যার বিচার চেয়ে ওই শিক্ষার্থী প্রক্টর অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো বিচার পাননি। সেই সময় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও অজানা কারণে তা আর প্রকাশ হয়নি। এদিকে, সহকর্মী এক নারী শিক্ষিকা অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম কর্তৃক বিভাগের সিদ্ধান্তে জালিয়াতি করে ক্ষতির চেষ্টা করায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তৎকালীন উপাচার্য মীজানুর রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করেন। 

আবেদনপত্রে বলা হয়, দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বিভাগের সিদ্ধান্ত জালিয়াতি করে আমার ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করছেন, যার প্রমাণ পেয়েছি। তিনি ০৯/০৩/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত বিভাগের সভায় এজেন্ডার বাইরে বিবিধে আলোচিত হয়েছে মর্মে নিম্নক্ত সিদ্ধান্ত রেকর্ড করেছেন এবং সেটি বিভাগের নথিতে সংযুক্ত করেছেন। একই সঙ্গে নথি জালিয়াতি করে ড. হাফিজুল ইসলাম সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্বাস ভঙ্গ ও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন এবং সেই অনুসারে তিনি বিভাগীয় সভাপতির পদকে কলঙ্কিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চতম প্রতিষ্ঠানের গায়ে কালিমা লেপন করেছেন।

এরকম কাজ গর্হিত ও ঘৃণ্য অপরাধ, যা আইন ভঙ্গসহ নৈতিক স্খলনের পর্যায়ভুক্ত। ফলে সেখানে অবিলম্বে হাফিজুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তবে অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম জবির তৎকালীন সাবেক ভিসি মিজানুর রহমানের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে আইনবিরোধী কাজ করেও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। 

একই সঙ্গে তিনি তৎকালীন আওয়ামী সরকারের সময়ে নীল দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করায় শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয় জবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে রাজনীতি নিষিদ্ধের আইন অমান্য করে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রচারণায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন উপাচার্য মীজানুর রহমানের সঙ্গে উপাচার্যের কক্ষে নৌকার প্রচারণার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের সময় পতিত আওয়ামী সরকারের সমর্থক হিসেবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেন তিনি।

জুলাই আন্দোলনে যেসব জবি শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন, তাদের বিভিন্নভাবে বাধা ও হয়রানি করেন বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। গত বছরের ৪ আগস্ট জাতীয় শহিদ মিনারে এক মানববন্ধন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলন হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানান তিনি। গত বছরের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সৈরচারের দোসর হিসেবে কাজ করা অনেক শিক্ষক  পদত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমকে মোবাইল ফোনে কল এবং হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ পাঠালেও সংবাদটি লেখার সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!