সকাল থেকেই পুকুরপাড়ে মাছ শিকারিদের তোড়জোড়। কারো হাতে বড়শি, কারো হাতে মাছের খাবার। আবার কেউ রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা নিয়ে আসন গেড়েছেন পুকুরপাড়ে। বড়শিতে টোপ ফেলে অপেক্ষা করছেন শিকারিরা। কোনো ধ্যান-জ্ঞান নেই, একটাই শুধু দৃষ্টিÑ কখন পাটকাঠিটি তলিয়ে যায়। আর তখনই কারিশমা করে ছিপ হাতে জোরে টান। শুধু তাই নয়, মাছ ধরতেই থেমে থেমে দর্শকদের চিৎকারে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় পুকুরজুড়ে।
ঠিক এভাবেই ময়মনসিংহের নান্দাইলে পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছেন মাছ শিকারিরা। বড়শিতে মাছ বাধতেই আনন্দে মাছ শিকারি ও দর্শকদের চিৎকার আর চেঁচামেচিতে মুখরিত হয় পুকুরপাড়। গতকাল শনিবার উপজেলার স্থানীয় মধুপুর বাজার এলাকায় সোহেল মিয়ার পুকুরে টিকিট কেটে দিনব্যাপী শখের মাছ ধরা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ উৎসব। ৫ হাজার টাকায় একটি টিকিটের বিপরীতে দুটি বড়শিতে দুইজন মাছ ধরেছেন। শিকারিদের অনেকেই একাধিক বড়শি ও বিভিন্ন মাছ রাখার বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে এসেছেন। অনেকেই সহযোগী নিয়েও এসেছেন।
এই মাছ ধরার উৎসবে বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া, কালাবাউশসহ দেশি প্রজাতির মাছ। সোহেল মিয়ার পুকুরে মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বালিপাড়া গ্রামের মাছ শিকারি ইসব আলী বলেন, ‘শখের বশে টিকিট কেটে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে এসেছি। ৫ হাজার টাকা দিয়ে দুটি বড়শি বুকিং নিয়ে সকাল থেকে মাছ ধরছি। ছোট-বড় বিভিন্ন জাতের মাছ পেয়েছি।
উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের মাছ শিকারি আব্দুস সাত্তার বলেন, ৩০ বছর ধরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছি। শখের বশেই মাছ শিকার করি। টাকাটা আমাদের কাছে বড় বিষয় না। শখ পূরণই বড় বিষয়।
পুকুরের মালিক ও আয়োজক সোহেল মিয়া বলেন, পুকুরে প্রচুর মাছ রয়েছে। শখের বশেই টিকিটের মাধ্যমে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকায় একটি টিকিটের বিপরীতে দুটি বড়শিতে দুইজন মাছ ধরেছেন। উৎসমুখর পরিবেশে মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন