আজকের ডিজিটাল যুগে আমরা অনলাইনে, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব, ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রায় সব সময় সংযুক্ত থাকি। ব্যবহার করার সময় অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন, পপ-আপ এবং নোটিফিকেশন আমাদের মনোযোগ ছিনিয়ে নেয় এবং বিরক্তি সৃষ্টি করে। এটি বিশেষ করে জরুরি কাজ বা তথ্য অনুসন্ধানের সময় অসহনীয় মনে হয়। তবে কিছু সহজ কৌশল মেনে এই সমস্যা অনেকটা কমানো সম্ভব। ব্রাউজারে অ্যাড-ব্লকার ব্যবহার করলে পপ-আপ এবং বেনার বিজ্ঞাপন ব্লক করা যায়।
গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স বা এজের মতো ব্রাউজারে বিভিন্ন অ্যাড-ব্লকার এক্সটেনশন রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে। পাশাপাশি ইউটিউব, স্পোটিফাই বা নিউজ অ্যাপের প্রিমিয়াম সংস্করণ ব্যবহার করলেও বিজ্ঞাপন পুরোপুরি বন্ধ করা যায়। এটি অর্থের বিনিময়ে হলেও যারা শান্তি এবং মনোযোগের সঙ্গে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এটি কার্যকর সমাধান। অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিজ্ঞাপন সরাসরি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আসে, যা বিরক্তি বাড়ায়। ফোন বা ব্রাউজারের সেটিংসে গিয়ে নোটিফিকেশন সীমিত বা বন্ধ করলে ব্যবহারকারীর মনোযোগ রক্ষা করা যায়। একই সঙ্গে কুকি এবং ট্র্যাকিং ডেটা নিয়ন্ত্রণ করা হলে নির্দিষ্ট বা ব্যক্তিগতকৃত বিজ্ঞাপন কমে।
ব্রাউজারের সেটিংসে কুকি ক্লিয়ার করা বা ট্র্যাকিং সীমিত করা হলে ব্যবহারকারীর অনলাইন অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ হয়। বিজ্ঞাপন সীমিত করার আরেকটি উপায় হলো কনটেন্ট ফিল্টার বা পারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার। এটি বিশেষ করে শিশু বা শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিত করে এবং অনাকাক্সিক্ষত বিজ্ঞাপন থেকে রক্ষা করে। এই কৌশলগুলো একসঙ্গে ব্যবহার করলে ডিজিটাল বিরক্তি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
সর্বশেষে বলা যায়, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে অ্যাড-ব্লকার, প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন, নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ, কুকি ব্যবস্থাপনা এবং কনটেন্ট ফিল্টার ব্যবহার করে অনলাইন অভিজ্ঞতা অনেক শান্তিপূর্ণ এবং মনোযোগহীন বিঘœমুক্ত করা যায়। নিয়মিত এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে ব্যবহারকারীর বিরক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এবং অনলাইনে কাজ করা আরও আনন্দদায়ক হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন