প্রযুক্তি আর গবেষণার অনন্য মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন এম ডি মারুফুল ইসলাম, যাকে সবাই ভালোবেসে হিমুল নামে চেনে। একদিকে লেখক, গবেষক এবং সম্পাদকম-লীর সদস্য, অন্যদিকে আইটি পেশাজীবী সব মিলিয়ে তিনি এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী।
ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা মারুফুল সেখানেই শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন এবং তরুণ বয়সেই উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। হিমুল’স সোরসিং এবং কোডেন্সিফাই সফটওয়্যার সলিউশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব অফিস গড়ে তোলেন তিনি। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে গিয়েই তার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি গভীর আগ্রহ জন্ম নেয়। এই আগ্রহই তাকে পাড়ি জমাতে প্রেরণা জোগায় যুক্তরাষ্ট্রে। উচ্চশিক্ষা শেষে তিনি অর্জন করেন এডব্লিউএসের প্রফেশনাল ডেভঅপস ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট এবং আইটি গবেষণায় মনোনিবেশ করেন পূর্ণভাবে। ফলে তার গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয় এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে এআইয়ের প্রভাব নিয়ে লেখা বই ‘এআই ইন মেডিসিন’ তাকে এনে দেয় বিশেষ পরিচিতি।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাস করছেন এবং দুটি আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদকম-লীর দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন নামকরা প্রকাশনা থেকে রিভিউয়ার সার্টিফিকেটও অর্জন করেছেন তিনি। তার প্রতিটি অর্জনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে গবেষণার প্রতি নিষ্ঠা এবং সমাজসেবার মানসিকতা। ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রয়েছে আরেকটি মহৎ উদ্যোগ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, যেখানে তারা বিনা মূল্যে প্রোগ্রামিং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শেখার সুযোগ পাবে। তিনি বিশ্বাস করেন, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে সমান প্রবেশাধিকারই শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারে। এ স্বপ্ন পূরণে তিনি এরই মধ্যে নানাভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মারুফুল ইসলামের যাত্রা প্রমাণ করে যে জ্ঞান কেবল ব্যক্তিগত সাফল্যের হাতিয়ার নয়, বরং সমাজকল্যাণের এক অমূল্য সোপান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন