স্প্যানিশ লিগে ওবিয়েদোর বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায়ে দারুণ জয় তুলে নেয় বার্সেলোনা। তারা ৩-১ গোলে ওবিয়েদোকে হারিয়ে তালিকার শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমাল তারা। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট এখন বার্সার। তাদের সমান ম্যাচ খেলে রিয়ালের অর্জন সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট।
অ্যাওয়ে ম্যাচে ওবিয়েদোর বিপক্ষে খেলার শুরু থেকে পজেশন ধরে রাখায় এবং আক্রমণে আধিপত্য করলেও ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোল পাচ্ছিল না বার্সেলোনা। বরং গোলরক্ষকের মারাত্মক ভুলে পিছিয়ে পড়ার পর একপর্যায়ে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কাও জাগল। তবে ঘুরে দাঁড়াল তারা দারুণভাবে। প্রতিপক্ষের মাঠে দারুণ জয় পেয়েছে কাতালানরা। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে আলবের্তো রেইনার দর্শনীয় গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান এরিক গার্সিয়া। বদলি নেমে রবার্তো লেভানদোভস্কি দলকে এগিয়ে নেন। এরপর শেষ দিকে জালের দেখা পান রোনালদ আরাউহো। পুরো ম্যাচে প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য মোট ২২টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ১০টি ছিল লক্ষ্যে। ওবিয়েদোর ৭ শটের ৩টি লক্ষ্যে ছিল।
৬ রাউন্ড শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা। শীর্ষে রেয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ১৮। লামিনে ইয়ামালকে ছাড়া আরও একটি ম্যাচ খেলতে নেমে তৃতীয় মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শট নেয় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ১০ মিনিটে রাফিনিয়ার পাসে মার্কাস র্যাশফোর্ডের ভলি দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ওবিয়েদো গোলরক্ষক। ২২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাশফোর্ডের আরেকটি শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন তিনি। ৩২ মিনিটে রাফিনিয়ার নিচু শট পোস্টে লাগে। সেই বলে দুরূহ কোণ থেকে আরাউহোর শট গোললাইনের ওপর থেকে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটে বার্সেলোনা গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়ার চরম ভুল আর রেইনার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় ওবিয়েদো। বক্সের অনেকটা বাইরে এসে ক্লিয়ারের চেষ্টায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে তুলে দেন গার্সিয়া। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে উঁচু শটে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রেইনা। ৫৬ মিনিটে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা।
আরাউহোর পাসে কাছের পোস্টে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের বাধায় ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ফেররান তরেস। গড়িয়ে যাওয়া বল দূরের পোস্টে পা ছুঁয়ে জালে পাঠান ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। ৬৫ মিনিটে রাফিনিয়াকে তুলে লেভানদোভস্কিকে মাঠে নামান বার্সেলোনা কোচ। ফলও মিলে যায় দ্রুত। ৭০তম মিনিটে ডান দিক থেকে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রসে কাছের পোস্টে চমৎকার হেডে দলকে এগিয়ে নেন ৩৭ বছর বয়সি পোলিশ স্ট্রাইকার। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন আরাউহো। রাশফোর্ডের কর্নারে হেডে গোলটি করেন উরুগুয়ের এই ডিফেন্ডার। একটু পর দারুণ একটি সেভ করে ২ গোলের ব্যবধান ধরে রাখেন হোয়ান গার্সিয়া।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন