বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয়েছে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসর। গতকাল হাবিবুর রহমান সোহান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। তারা ৮ উইকেটে হারায় খুলনা বিভাগকে। ৯৪ রানের ইনিংস খেলা সোহান পান ম্যাচ-সেরার পুরস্কার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি সোহান। শত রান না পেলেও দলের দাপুটে জয়ের নায়ক তিনিই। ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৪ বলে ৯৪ রানের ইনিংস উপহার দেন ঘরোয়া ক্রিকেটের আগ্রাসী এই ব্যাটার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২০ ওভারে ১৭১ রান তোলে খুলনা। ৩৪ বলে ৬৩ রান করেন সৌম্য সরকার। রান তাড়ায় রাজশাহী জিতে যায় ২৩ বল বাকি রেখেই। সোহানের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১৪৮ রান। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাজশাহী অধিনায়ক শান্ত। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা তিন ওভারেই হারায় ৩ উইকেট। প্রথম ওভারেই ইমরানউজ্জামানকে ফেরান নিহাদ উজ জামান। বাঁহাতি এই স্পিনার পরে বিদায় করেন খুলনা অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে। মাঝে মেহেরব হোসেনের শিকার এনামুল হক (বিজয়)।
১৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নেন সৌম্য। সঙ্গী পান তিনি আফিফ হোসেনকে। ৭২ বলে ১৩০ রানের জুটি গড়েন দুজন। শান্তর নিরীহ এক ডেলিভারিতে লং অফ সীমানায় ধরা পড়ে থামে সৌম্যর ইনিংস। আফিফ ৫০ রান করলেও খেলেন ৪৫ বল। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও জিয়াউর রহমান ভালো করতে পারেননি। নাহিদুল ইসলাম ১১ বলে ১৭ রান করে দলকে ১৭০ পার করান। তবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেই রানকে পাত্তাই দেননি সোহান ও শান্ত। পাওয়ার প্লেতেই ৭২ রান তোলেন দুজন। নবম ওভারে রান পেরিয়ে যায় ১০০। সোহানের ফিফটি আসে ২২ বলে। ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার আগের একমাত্র ফিফটি ছিল ৬৬ রানের। সেটি পেরিয়ে দারুণ গতিতে ছুটে যান প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির কাছাকাছি। কিন্তু কাছে গিয়েই বিপত্তি। ৯৪ রানে ফিরতে হয় তাকে আক্ষেপ নিয়ে। পরে তিনে নামা সাব্বির হোসেনকে হারায় রাজশাহী। তবে ৩১ বলে ফিফটি করা শান্ত ক্রিজে থেকে দলকে জিতিয়ই ফেরেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন