বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রেজাউল করিম, রংপুর

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৩:২২ এএম

পানি কমলেও দুর্ভোগ  বেড়েছে তিস্তাপাড়ে

রেজাউল করিম, রংপুর

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৩:২২ এএম

পানি কমলেও দুর্ভোগ  বেড়েছে তিস্তাপাড়ে

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে রংপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রংপুরের কাউনিয়ায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, এর আগে একই স্থানে বেলা ৩টায় ২০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল পানি। গতকাল মঙ্গলবার পানি কমে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

অপর দিকে একই সময়ে নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে; যা গত রোববার রাতে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া উপজেলার রেলওয়ে সেতু পয়েন্টে ২৯ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সেখানে বেলা ৩টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।

পানি বেড়ে টানা ১২ ঘণ্টা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তাপাড়ের লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। গতকাল পানি বিপৎসীমার নিচে নামলে মুক্তি পায় পানিবন্দি পরিবারগুলো। তবে ইতিমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকার প্রতিটি বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে আবর্জনা, কচরিপানা আর পোকামাকড়। অনেক পরিবারের আসবাবপত্র ভিজে গেছে বন্যার পানিতে। পানি কমলেও তাই দুর্ভোগ বেড়েছে তিস্তাপারের মানুষের। 

গৃহবধূ সাহানা বেগম বলেন, ‘ঘরের পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু মেরামত না করে ঘরের ভেতরে থাকা দুষ্কর। আবর্জনা, কচুরিপানা ও কাদায় একাকার। পোকামাকড়ের আতঙ্কে রয়েছি। আজ (গতকাল) পানি না থাকলেও নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে। সন্তানদের নিয়ে গতকাল (সোমবার) রাত বসে থেকে কাটিয়েছি। আমাদের কষ্টের শেষ নেই। আমরা তিস্তা নদীর স্থায়ী বাঁধ চাই।’

কৃষক খলিল মিয়া বলেন, ‘মধ্য বয়সি আমন ধানের খেত টানা প্রায় ৩০ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে ডুবে আছে। জানি না খেতের কী হলো। আবাদ নষ্ট হলে তো না খেয়ে মরতে হবে।’

মৎস্যচাষি ডলার বলেন, ‘পুকুরের চারদিকে নেট জাল দিয়েও মাছ রক্ষা করতে পারিনি। বন্যার স্রোতে সব ভেসে গেছে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শাইখুল আরেফিন বলেন, ‘মধ্যবয়সি আমনখেত দুই-তিন দিন ডুবে থাকলেও তেমন ক্ষতি হবে না। অস্থায়ী বন্যায় আমনে ক্ষতি নয়, বরং উপকার। তবে পানি দ্রুত নেমে না গেলে ক্ষতি হতে পারে। পানি কমে গেছে, এখন আমনে তেমন ক্ষতি হবে না।’ পানি কমে গেলে খেতে জমে থাকা কচুরিপানাসহ আবর্জনা সরিয়ে দিতে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বন্যার সৃষ্টি হলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্য কমে গেছে। ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।

এর আগে বন্যার পানির চাপে বেশ কয়েকটি সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। হাতীবান্ধার দোয়ানী গড্ডিমারী ও পাটগ্রামের দহগ্রাম সড়ক ভেঙে যায়। স্থানীয় জনতা ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন বালুর বস্তা ফেলে এ সময় সড়কগুলো রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করেন।

এ সময় পানিবন্দি পরিবারগুলো সীমাহীন কষ্টে পড়ে। নির্ঘুম রাত কাটে তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষের। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ আর প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিপাকে পড়েন বন্যাকবলিতরা। গবাদিপশু-পাখি নিয়ে বিপদে পড়েন খামারিরা। কেউ কেউ এসব পশুকে পাশের সড়কে বা উঁচু এলাকায় তাঁবুর নিচে রাখেন। উঁচু স্থানে মাচা বানিয়ে কেউ কেউ সারা দিনের রান্না একবারে সেরে নেন। টিউবয়েল ও টয়লেট ডুবে যাওয়ায় শৌচকাজে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নারীদের। ডুবে যায় মৎস্য খামার, মধ্যবয়সি আমন ধানসহ নানান জাতের সবজির খেত।

একই সময়ে নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কমে ভাটির দিকে নেমে যাওয়ায় কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলগুলোতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় নি¤œাঞ্চলের বাসিন্দারা তিস্তার তীরবর্তী উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়।

কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, পানি বাড়ায় তার ইউনিয়নের হরিচরণশর্মা, চরগনাই, হয়বৎখাঁ গ্রামের নি¤œাঞ্চলের বেশ কিছু বাড়ির বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েন, তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। 

চরগনাই গ্রামের আব্দুল বাতেন জানান, চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, ডুবে গেছে আমন ধানের খেত। তিনিসহ অনেকেই উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

এ বিষয়ে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিদুল হক জানিয়েছিলেন,  ‘তিস্তা নদীর পানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। আমরা নদীতীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। উপজেলার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নে নদীতীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তালিকা করে প্লাবিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ‘বন্যাকবলিত ব্যক্তিদের জন্য জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ঢেউটিন মজুত রয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে তা বিতরণ করব।’

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের অন্তত ১০টি এলাকা প্লাবিত হয়। গত রোববার বেলা ২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায় এবং তিস্তা নদী রক্ষাবাঁধ না থাকায় পানি হু হু করে দহগ্রামে ঢুকে বন্যা দেখা দেয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে শত শত পরিবার। এ সময় পানির তোড়ে আঞ্চলিক পাকা রাস্তা প্রায় ৭ কিলোমিটার, একটি সেতু ও দুটি কালভার্ট ভেঙে যায়। প্রায় ১০ হেক্টর আমন ধান, বাদামসহ অন্যান্য সবজিখেত পানিতে তলিয়ে যায় এবং চাষাবাদের জমি ভেঙে আবাদ ক্ষতির মুখে পড়ে। 

দহগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিস্তার পানিতে এই ইউনিয়নের ১, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিস্তা চরাঞ্চলসহ কলোনিপাড়া, মুন্সিপাড়া, ক্লিনিকপাড়া, কাদেরের চর, মহিমপাড়া, চরপাড়া, কাতিপাড়া, সৈয়দপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, বড়বাড়ি, নতুনহাট, হাঁড়িপাড়া এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। পানির তীব্র স্রোতে কলোনিপাড়া, মহিমপাড়া ও স্বাধীন বাংলা চত্বর এলাকার পাকা সড়ক ভেঙে যায়।

দহগ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৃষ্টিয়ারপাড় এলাকার সাকোয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়ক, কলোনিপাড়ার দুটি কালভার্ট এবং ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গেরবাড়ী থেকে নতুনহাট এলাকায় সাকোয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে গেছে। সড়ক ও সেতু ভেঙে একাকার হওয়ায় এসব এলাকার প্রায় ১০ হাজার সাধারণ মানুষের চলাফেরায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব এলাকার পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

দহগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কলোনিপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘প্রতি বছর ভারত পানি ছেড়ে দেয়, এতে আমাদের এই রাস্তা ভেঙে যায়। জমি-জায়গা, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়। তিস্তা মহাপরিকল্পনা চালু করলে আমাদের উপকার হবে, না হলে আমাদের ক্ষতি হতেই থাকবে।’

এ বিষয়ে ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু দেখেছি। সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সংস্কার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, জনদুর্ভোগ কমে যাবে।’

নীলফামারীতে গতকাল বেলা ৩টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে গত রোববার রাত ১১টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ১২টার পর কমতে শুরু করলে গতকাল সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে নামে।

পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে এসব গ্রামের অন্তত ১০ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানি কমায় স্বস্তি ফেরে এসব মানুষের মধ্যে।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘আজ (গতকাল) পানি নেমে গেলেও ইউনিয়নের ১ হাজার ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া চরের খেতে থাকা আধা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইউনিয়নের খোকার চরে তিন স্থানে এবং যৌথ বাঁধের কাছে তিন স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে।’

টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়নের ৮৫০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। গতকাল সকালে পানি নেমে গেলেও পরিবারগুলো ক্ষতির মুখে পড়েছে। পানির সঙ্গে আসা বালু ও পলি পড়ে এলাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’

একই উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক বিপুল চন্দ্র রায় বলেন, আজ (গতকাল) পানি কমায় এসব খেত জেগে উঠলেও বানের পানিতে ভেসে আসা বালু ও পলি পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন,     ‘বন্যায় উপজেলার ৬০ হেক্টর আমনখেত পানিতে নিমজ্জিত হয়। দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় কোনো ক্ষতি হয়নি।’

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, গত সোমবার রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর থেকে পানি কমতে শুরু করলে গতকাল সকাল ৬টায় ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় আরও কমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ১০ সেন্টিমিটার, বেলা ৩টায় ২০ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ২৫ সেন্টিমিটার নিচে নামে।

পানি বাড়ার ফলে ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্টে নদীর ডান তীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। সেখানে বাঁশের পাইলিং ও বালুর বস্তা ফেলে রাতেই বাঁধটি রক্ষা করতে সক্ষম হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে পানি কমে সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট (৪৪) খুলে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তার জিরো পয়েন্টের কাছে কালিগঞ্জ নামের স্থানে তিস্তার ডান তীর প্রধান বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে বাঁশের পাইলিং ও বালুর বস্তা দিয়ে সেটি ঠেকানো গেছে।’
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!