বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জামাল উদ্দিন বাবলু, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০১:৫৫ এএম

আশার গ্রামে নেশার নিশ্বাস

জামাল উদ্দিন বাবলু, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০১:৫৫ এএম

আশার গ্রামে নেশার নিশ্বাস

  • বেড়েছে হত্যাকাণ্ড, পারিবারিক সহিংসতা ও অপরাধ
  • গেল ৬ মাসে ধরা পড়েছে শতাধিক ব্যবসায়ী, উদ্ধার হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ইয়াবা
  • রাজনৈতিক মদদ ও আইনের ফাঁকফোকরে মূল হোতারা 

লক্ষ্মীপুর জেলার গ্রাম থেকে শহর, সবখানেই মাদকের ভয়াবহ বিস্তার সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে। মাদকের ব্যবহার ও বিক্রির কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে হত্যাকা-, পারিবারিক সহিংসতা, কিশোর গ্যাং সক্রিয়তা ও নানা ধরনের অপরাধ।
গত কয়েক মাসে জেলায় সংঘটিত নৃশংস কিছু ঘটনার মধ্যে রয়েছে, ৬ অক্টোবর সদর উপজেলার দক্ষিণ আন্ধারমানিক গ্রামে মাদকাসক্ত ফারুক হোসেনের দায়ের কোপে মারা যায় তার ৫ বছরের শিশুকন্যা ফারিহা সুলতানা। ১১ জুন রায়পুরে মাদক কারবারে প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধ আলী দেওয়ানকে কুপিয়ে হত্যা করে তার মাদকাসক্ত ছেলে মামুন। ১ জুন সদর উপজেলার আজাদ হোসেন বাবলু হত্যাকা-ের সূত্রপাতও মাদক কারবারকেন্দ্রিক বিরোধ থেকে। ১৫ মার্চ শহরের কালু হাজী সড়কে মাদক সেবন শেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন করে আলমগীর নামের এক ব্যক্তি। এ ছাড়া স্কুলপড়ুয়া তরুণদের বিরুদ্ধেও মাদক কারবারিদের করা মামলার অভিযোগ উঠেছে, যা সমাজে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।

গ্রামে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ও গাঁজা। তরুণরা সহজেই আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জন্য তারা পরিবারে নির্যাতন ও ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ছে। গেল বছরের মাত্র চার মাসে মাদকাসক্তদের হাতে সাতটি হত্যাকা- ঘটে, যার মধ্যে স্ত্রী-সন্তান, মা কিংবা ভাই হত্যার মতো ভয়াবহ ঘটনাও রয়েছে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে ৮৬৯টি অভিযানে ২৩ হাজার ৫৬৪ পিস ইয়াবা ও ১০৩ কেজি গাঁজাসহ ১৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বিভাগ জানায়, ৮ মাসে ৩২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবু মাদকের মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জেলায় ১২ জন গডফাদার, ২৮ জন পাইকারি ও ৭১ জন খুচরা বিক্রেতার বিরুদ্ধে তথ্য রয়েছে।

রাজনৈতিক মদদ ও আইনের ফাঁকফোকরে অভিযুক্তদের জামিনে বেরিয়ে পুনরায় মাদক কারবার শুরু করার অভিযোগও স্থানীয়দের।

প্রেসক্লাব, জনপ্রতিনিধি ও বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু অভিযান নয়, আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া এ ভয়াবহতা রোধ সম্ভব নয়। মাদক কারবারিরা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়ায় নতুন মানুষও এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।

জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি, সামাজিক সচেতনতা ও যৌথ অভিযানের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে কার্যকর ফল পেতে সবার সহযোগিতা জরুরি।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!