এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে শক্তিশালী দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে হংকং। ব্রাজিল, ফ্রান্স, ক্যামেরুন থেকে আসা ফুটবলারও তাদের দলে রয়েছে। সব মিলে হংকং দলে ১১ প্রবাসী ফুটবলার আছেন। আর তারাই দলটির মূল শক্তি। ওই ফুটবলারদের মধ্যে পাঁচজন ব্রাজিলিয়ানÑ ডিফেন্ডার লুইস এদুয়ার্দো, মিডফিল্ডার ফার্নান্দো পেদ্রেইরা, ফরোয়ার্ড এভারটন কামারগো, জুনিনিয়ো ও স্টেফান পেরেইরা। আছেন ইউক্রেনিয়ান গোলরক্ষক ওলেক্সি শ্লিয়াকোটিন, রক্ষণভাগে স্কটিশ লিওন জোন্স, জাপানের ডিফেন্ডার শিনইচি চ্যান, মাঝমাঠে ক্যামেরুনের মহামা আওয়াল, ফ্রান্সের মিডফিল্ডার রাফায়েল মারকিস ও আক্রমণভাগে স্প্যানিশ মানোলো ব্লেদা।
আজ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে হংকং। এরপর ১৪ অক্টোবর একই প্রতিযোগিতার ফিরতি লেগে বাংলাদেশ খেলবে হংকংয়ের মাটিতে। দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের এই প্রবাসীরাই হতে পারেন বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা। ২০২৩ সালে হংকং জাতীয় দলে অভিষেক হয় ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত কামারগোর। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ১৯ ম্যাচে ১০ ও ১৩ গোলে সহায়তা করেছেন। তার ড্রিবলিং বেশ ভালো। আক্রমণে গতির ঝড় তুলতে পারেন কামারগো। প্রতিপক্ষ গোলকিপারের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোল করতে পারেন। শুধু গোল নয়, তার খেলা তৈরি করার দক্ষতাও দারুণ। উইং থেকে রক্ষণ ভাঙার কাজটাও নিখুঁতভাবে করেন ৩৪ বছর বয়সি এই ফুটবলার।
আরেক উইঙ্গার আওয়াল কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য। এ ছাড়া লম্বা শট এবং ক্রসে আক্রমণ তৈরিতেও পারদর্শী তিনি। আওয়াল বাংলাদেশকে সমীহ করলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। বাংলাদেশে আসার আগে আওয়াল বলেছেন, ‘শুনেছি, বাংলাদেশে পারফর্ম করা খুব কঠিন, কিন্তু আমরা এবার শক্তিশালী দল এবং প্রস্তুত। আমরা সেখানে পূর্ণ শক্তি নিয়েই যাব এবং জয়ের জন্য সবকিছু করব...এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমাদের পয়েন্ট প্রয়োজন।’ আক্রমণভাগের আরেক প্রবাসী ফুটবলার জুনিনিয়োও বাংলাদেশকে হারাতে প্রস্তুত, ‘হংকংয়ের হয়ে খেলা প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে দুবার হারাতে পারলে তা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য হবে দারুণ পদক্ষেপ।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন