বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০২:৩৪ এএম

পিতার মৃত্যুতে মেয়ের মামলা, সৎমা গ্রেপ্তার

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০২:৩৪ এএম

গ্রেপ্তার মোছা. ফাতেমা বেগম । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গ্রেপ্তার মোছা. ফাতেমা বেগম । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের জয়দেবপুরে ইব্রাহিম খলিল (৬৫) নামের এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার মেয়ে মুক্তা আক্তার (৩৩) সৎমাতা মোছা. ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে, জয়দেবপুর থানার ভবানীপুর উত্তরপাড়ার মোহাম্মদিয়া গেইট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

মুক্তা আক্তার জয়দেবপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, ওই রাতে তার সৎখালা নাছিমা খাঁ ফোন করে জানান যে তার পিতা গুরুতর অসুস্থ। সংবাদ পেয়ে মুক্তা ও তার স্বামী সুমন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

তারা গিয়ে দেখেন, ইব্রাহিম খলিল খাটে শায়িত অবস্থায় কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করেন, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় তাকে মনিপুর পপুলার হাসপাতালের ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন (৭ অক্টোবর) সকালে, ভবানীপুর নয়াপাড়ায় তার ফুপু ইয়াসমিন বেগমের বাড়িতে দাফনের প্রস্তুতিকালে মৃতদেহ গোসলের সময় দুই ব্যক্তি- শাহজালাল (২৩) ও সাইদুর ইসলাম (৫৩)- মৃতের লুঙ্গিতে রক্তমাখা দাগ এবং পুরুষাঙ্গে রক্ত দেখতে পান। বিষয়টি তারা পরিবারের অন্য সদস্যদের জানান, এর ফলে মৃত্যুকে ঘিরে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগে মুক্তা উল্লেখ করেন, পরবর্তীতে সৎমাতা ফাতেমা বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি একেক সময় একেক রকম অসংলগ্ন কথা বলেন, যা তাদের সন্দেহ আরও ঘনীভূত করে। তার দাবি, সৎমাতা ফাতেমা বেগম ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অন্য কারো সহায়তায় তার পিতাকে হত্যা করেছেন।

খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মামলাটি বর্তমানে একটি হত্যা মামলার আওতায় তদন্তাধীন।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও রহস্যজনক। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, সাক্ষীদের বক্তব্য নিয়েছি এবং মৃতদেহের প্রাথমিক পরীক্ষা ও আলামত সংগ্রহ করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে ফরেনসিক টিমের সহায়তা নেওয়া হবে। কেউ দোষী হলে, সে পরিবারের সদস্য হোক বা অন্য কেউ- আইনের আওতায় আনা হবে।’

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ইব্রাহিম খলিল দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুর উত্তরপাড়ায় ভাড়াবাসায় বসবাস করছিলেন। তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি ফাতেমা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

Link copied!