বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


তাপস মাহমুদ, বরগুনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০২:০১ এএম

শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক বেশি

তাপস মাহমুদ, বরগুনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০২:০১ এএম

শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক বেশি

  • বরগুনার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ১৫ জন, অথচ শিক্ষক-কর্মচারী ১৬ জন
  • গত বছর দাখিল পরীক্ষায় পাস করেছে ৭ জন, ক্লাসে উপস্থিতি নেই বললেই চলে
  • তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ

বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী মাত্র ১৫ জন, অথচ শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১৬ জন। শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী বেশি থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিবছর সরকারি ব্যয় হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কমিটি ও শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত ভেঙে পড়েছে।

উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে অবস্থিত মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। একসময় এখানে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলেও দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম, দ্বন্দ্ব ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে এখন নেমে এসেছে মাত্র ১৫ জনে।

মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে ইবতেদায়ি শাখা প্রায় শূন্য, আর দাখিল শাখায় নিয়মিত ক্লাসে আসে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। অথচ কাগজপত্রে দেখানো হচ্ছে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম।

গত বছর দাখিল পরীক্ষায় ৩৭ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে মাত্র ৭ জন। আসন্ন ২০২৬ সালের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ৩৬ জন শিক্ষার্থীর, কিন্তু নিয়মিত ক্লাসে আসে মাত্র ২ জন।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, চারটি শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিচ্ছে ১৫ শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণিতে ২ জন, নবম শ্রেণিতে ২ জন এবং বাকিরা অন্যান্য শ্রেণিতে। এ সময় নৈশপ্রহরীকে শিক্ষকদের আসনে বসে থাকতে দেখা গেলেও ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির উপস্থিত ছিলেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন; মাসে দু-একবার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ফিরে যান।

সাবেক সুপার মাওলানা আব্দুল হাই অভিযোগ করেন, ‘মাদ্রাসাটি এখন অনিয়মের আখড়া। ভারপ্রাপ্ত সুপার ভুয়া নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।’

অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির বলেন, ‘আমি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় আছি। বর্ষার কারণে উপস্থিতি কিছুটা কম। এলাকায় আরও তিনটি মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে গেছে।’

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াদ হাসান বলেন, ‘মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘১৫ শিক্ষার্থী নিয়ে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!