চলতি বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, অক্টোবর ২০২৫-এ এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক যৌথ সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। আইএমএফ সাধারণত পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে থাকে। এর আগে গত এপ্রিল মাসের আইএমএফের আউটলুকে এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। এখনো একই পূর্বাভাস রেখেছে আইএমএফ।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুসারে, আগামী বছর (২০২৬) প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এ দিকে চলতি বছরে গড় সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে বলে মনে করে আইএমএফ।
গত ৭ অক্টোবর আরেক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আরেক দাতা সংস্থা এডিবি বলেছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এই দুটি সংস্থা অর্থবছর ধরে জিডিপির পূর্বাভাস দেয়। সরকার চলতি অর্থবছরে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে। আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুসারে, বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা ১৩ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল এই যৌথ সভায় অংশ নিচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সার্বিক সভায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সাইড লাইনে বিভিন্ন দাতা সংস্থা যেমনÑ আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। ওই সব সভায় চলমান ঋণ কর্মসূচি, আর্থিক খাতের সংস্কার, পাচার অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। বর্তমানে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন