বালুমহালের আধিপত্যের জেরে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর মদুনাঘাট ব্রিজ এলাকায় বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জেলা পুলিশ। কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকা-ের এসব তথ্য পায় পুলিশ। অভিযানে তাদের কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি বন্দুক, একটি এলজি এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ জানায়, গত ৩১ অক্টোবর রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীব উল্লাহপাড়া এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ খোকন (ল্যাংড়া খোকন) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
খোকনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকা থেকে মারুফ নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ জানায়, হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সাকলাইন হোসেনের হেফাজতে ছিল। পরে ৪ নভেম্বর রাতে বিশেষ অভিযানে নোয়াপাড়া এলাকা থেকে সাকলাইন হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল জানান, রাউজান এলাকার বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকা- ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ১০-১২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর বিকেলে ব্যবসায়ী হাকিম নিজের গাড়িতে করে শহরে ফিরছিলেন। মদুনাঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তার গাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও হাটহাজারী থানা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন