লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্তে তিন থেকে চারটি ছররা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। তবে বিএসএফ তাতে সম্মত হয়নি। এদিকে বিএসএফের ছররা গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ার কথা শোনা গেছে। তারা গোপনে রংপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর ভোরে একই ইউনিয়নের সীমান্তে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে বিএসএফ। ৫ দিনের মাথায় এবার ছররা গুলি ছুড়ল। এ ঘটনায় ওই এলাকার সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বিপরীতে ভারতের কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম পকেটপাড়া। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৪ নম্বরের উপপিলার ৩-এর সীমান্ত এলাকার শূন্যরেখায় ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা সোমবার সকাল ৬টার দিকে তিন থেকে চারটি ছররা গুলি ছোঁড়ে। গুলির শব্দে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে এতে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী তিনজন আহতের কথা উঠলেও বিজিবি এ কথা অস্বীকার করেছে। সীমান্তে আহতরা বরাবরই অতি গোপনে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। ফলে আহতদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীরামপুর ইউনিয়নের এক ব্যক্তি বলেন, ‘নামাজ আদায় শেষে ফেরার পথে দেখি, মোটরসাইকেলে করে গুলিতে আহত ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
ঘটনার পরই রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শ্রীরামপুর ক্যাম্পের ও শমসেরনগর কোম্পানি সদরের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
এ ব্যাপারে বিজিবি রংপুর ৬১ (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন বলেন, ‘গুলি ছুড়েছে এ ঘটনা জানার পরপরই সীমান্তে যাই। পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল। বিএসএফ পরে বসবে বলে জানিয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন