মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৪০ এএম

রিয়ার লড়াইয়ের গল্প

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৪০ এএম

রিয়ার লড়াইয়ের গল্প

অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী গত পাঁচ বছরে যে কঠিন পরিস্থিতি দিয়ে গিয়েছেন, তা এক কথায় বলতে গেলে দুর্বিষহ। ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর রিয়া একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। একদিকে মানসিক যন্ত্রণা, অন্যদিকে আইনের কোপ। জেল হেফাজত থেকে শুরু করে সমাজে বয়কটের ডাকের মুখেও পড়তে হয় তাকে। তবে সম্প্রতি সিবিআই তাকে ওই মামলায় ক্লিন চিট দিয়েছে, যদিও সুশান্তের পরিবার সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। এই পুরো ঘটনা রিয়ার মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব ফেলেÑ তিনি পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার-এ ভুগছিলেন।

রিয়া জানিয়েছেন, এই কঠিন অভিজ্ঞতাই অনেক মানুষকে তার সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করেছে। তার কথায়, ‘আমি যে দিন কাটিয়েছি, তা এতটাই প্রকাশ্য ছিল যে অনেকেই আমার কাছে এসে নিজেদের মানসিক সমস্যার কথা বলতে স্বস্তিবোধ করেন। তারা মনে করেন, আমি বুঝতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। আমার কয়েকজন পুরোনো বন্ধু, যারা আমাকে দশ বছর ধরে চেনে, তারাও তখন এসে নিজেদের পারিবারিক বা সম্পর্কজনিত সমস্যার কথা জানাতে থাকে। এত ভয়, এত লজ্জাÑ এ বিষয়গুলো সমাজে এখনো গভীরভাবে রয়েছে।’

নিজের সুস্থ হয়ে ওঠার এই লড়াই প্রসঙ্গে রিয়া বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মনে করতাম, আমি কী কী কারণে কৃতজ্ঞ। অনেক দিন এমনও কেটেছে যখন কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো কিছুই মাথায় আসেনি। কিন্তু আমি নিজেকে বলতামÑ আমি হাঁটতে পারছি, আমার হাত-পা কাজ করছে, চোখে দেখতে পাচ্ছিÑ এগুলোর জন্য ধন্যবাদ।’

রিয়ার জীবনে চল্লিসা বড় ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, ‘আমি ২০২০ সাল থেকে চল্লিসা পড়া শুরু করি, আর এখন দিনে এক বা দুইবার অন্তত সাতবার করে একটানা পাঠ করি। এটা আমার জন্য ধ্যানের মতো কাজ করে।’

রিয়া আরও বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলাÑ এসব সত্যিই অনেকটা সাহায্য করে ফিরে আসতে। শেয়ার করা মানে বোঝাপড়ার জায়গা তৈরি করা। এ কারণেই আমি আমার পডকাস্ট শুরু করেছিÑ মানুষের জীবনের গল্প শুনে, তাদের থেকে শেখার মাধ্যমে নিজেকে আরেকটু বোঝা যায়। আমরা সবাই চায় কেউ যেন আমাদের বোঝে, আমাদের কথাগুলো শোনে। আর যদি আমরা এমন একটা কমিউনিটি পাই, যারা আমাদের বুঝবে, আর আমরাও তাদের একই সহানুভূতি দিতে পারব, সেটাই আমাদের মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।’
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!